সিউড়ি: দেউচা পাঁচামির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেও জটিলতা কাটার লক্ষণ নেই। আদিবাদীদের আন্দোলনের জেরে এবার ভেস্তে গেল সরকারি অনুষ্ঠান। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বীরভূম জেলা প্রশাসন মহম্মদ বাজার ব্লকের জমিদাতাদের হাতে পুনর্বাসন প্যাকেজ এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য দেওয়ানগঞ্জের মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
সকাল থেকে অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। দুপু্রে সেই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টো নাগাদ মথুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে আদিবাসীদের সশস্ত্র একটি মিছিল ওই এলাকায় আসে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ফিরে আসেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ভেস্তে যায় সরকারি কর্মসূচি।
দেউচা পাঁচামির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নবান্নে বুধবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। ওই সংগঠনের ৯ জন প্রতিনিধি সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা কথা দিয়েছিলেন, আপাতত আর আন্দোলন হবে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের জটিলতা।
আরও পড়ুন: Debra Rape: ডেবরায় নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ! পলাতক অভিযুক্ত
বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে তৈরি হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি৷ এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের৷ রাজ্য সরকারের এই কয়লা খনি-বন্দর প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ যদিও ইতিমধ্যে দেউচা পাঁচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মাসখানেক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বারবার অভিযোগ করেছেন, বিরোধীরা নানাভাবে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। তারা চায় না ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হোক। বিরোধী দলগুলি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে। এ ব্যাপারে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব এক। সম্প্রতি বিধানসভাতেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দেউচা পাঁচামিতে কোনও আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না।