দেগঙ্গা: রাজ্যের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকে কাজ করতে গিয়ে। আরও তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা এলাকায়। ওই পাঁচ যুবকের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে। যদিও এখনও কফিনবন্দি মৃতদেহ গ্রামে ফেরানো হয়নি। রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ফেরানোর জন্য যোগাযোগ করেছে কর্ণাটক প্রশাসনের সঙ্গে।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
কর্ণাটকের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মাছের বর্জ্য রাখার ট্যাঙ্কে নামেন সাইমুল্লা নামে এক শ্রমিক। ২০ ফুট গভীর ওই ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই বিষাক্ত গ্যাসে কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সাইমুল্লা। বাকিরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তাঁরাও ওই বিষাক্ত গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিন জন।
মাস দুয়েক আগে দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় পয়ত্রিশ জন কাজে যায় কর্ণাটকে। তাঁদের মধ্যেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটক সরকার। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার সরকার। পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কর্নাটক সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।