কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণ। একের পর এক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও পরিস্থিতি প্রায় একই।
বুধবার সকাল পর্যন্ত পুরুলিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০ জন। বাদ যাননি পুলিস কর্মীরা। সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে কিছুদিনের জন্য তালাবন্ধ হয়ে গেল পুরুলিয়া সদর থানা। পুরুলিয়া থানার তিন পুলিস অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। ওই থানার যাবতীয় কাজকর্ম করা হচ্ছে স্থানীয় সদর ফাঁড়িতে।
পুরুলিয়ার স্বাস্থ্য দফতরেও করোনার হানা। আক্রান্ত হয়েছেন ওই জেলার দুই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কড়া পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। তবুও হুঁশ ফিরছে না আমজনতার।
আরও পড়ুন: JP Nadda: করোনার কাঁটা, পুরভোটের আগে বাতিল জেপি নাড্ডার বঙ্গ সফর
একই ছবি নদিয়ার কল্যাণীতে। করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। বুধবার দুপুর পর্যন্ত কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও জেএনএম হাসপাতালে ৩০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন পড়ুয়া চিকিৎসক, ৬ জন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্স রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেও পরিষেবা দেওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বসিরহাটেও সংক্রমণের হার প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্স মিলিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় করোনা আক্রান্ত ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
এদিন করোনায় আক্রান্ত হন সিঙ্গুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। সিঙ্গুর গ্ৰামীন হাসপাতালের আরও ২ জন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবারই মৃদু উপসর্গ থাকায় তাঁরা হোম আইসোলশনে আছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন রাজ্যে আছড়ে পড়েছে, তখন হাসপাতালগুলিতেও ভিড় বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা মানুষজনের। তাঁদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাগুলি। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে কী করে? যাঁরা পরিষেবা দেবেন, তাঁরাই তো সমানে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়।