চন্দননগর : সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ভিডিওতে দেখা গেছে, ২ যুবককে পুলিশের ফাইবার স্টিক দিয়ে মারা হচ্ছে। তাদের বুকে ও পেটে লাথি মারা হয়েছে। যারা ওই দুই যুবককে মারধর করছে, তাদের মধ্যে একজন আকাশি রঙয়ের গেঞ্জি পরা সিভিক ভলেন্টিয়ার আর অপর জন সেনা জওয়ান। আর এই দৃশ্য ভিড় করে দেখছে অনেকে। এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। কিন্তু ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে ৩৬ সেকেন্ড ধরেই শোনা গেছে রানী ঘাটের ঘোষণা। জগদ্ধাত্রী বিসর্জনের দিন অর্থাৎ দশমীর দিন এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : ক্যাবের চালককে মারধর করে টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার ৬
জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর রাতে চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ২ যুবক হাতেনাতে ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ছাউনির মধ্যে একটি কোণে জড়সড় হয়ে বসে রয়েছে ওই ২ যুবক। তাদেরকে প্রথমে কিছুটা ধমক দিল ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারপর শুরু হল ফাইবারের স্টিক দিয়ে নির্মম ভাবে মারধর। সিভিক ভলেন্টিয়ারের পাশে হাতে ফাইবারের স্টিক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল একজন জওয়ান। সেও তারপর ওই ২ যুবকের পেটে ও বুকে লাথি মারতে শুরু করেন। ছাউনির বাইরে অনেক দর্শক জড় হয়ে এই দৃশ্য দেখছিলেন। কয়েকজনকে বলতে শোনা যায় যে, ২ যুবকের মাথায় যেন না মারা হয়। কিন্তু তাঁদের কথায় কোনও রকম কান না দিয়েই মারতে থাকে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও জওয়ান। কিন্তু ক্রমেই তাদের চারপাশে ভিড় বাড়তে থাকলে কয়েকজন সিভিক পুলিশ সাধারণ জনগণকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও চন্দননগরের ডিসি ভিদিত রাজ বুন্দেশ জানান, এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। এমনকি এই ঘটনার কোনও অভিযোগও আসেনি তাদের কাছে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় বাইরে থেকে পুলিশের অনেক সিভিক হোমগার্ড নিয়ে আসা হয়। এক্ষেত্রে যাদের ছবি এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তারা কারা, তাও জানাতে পারেনি চন্দননগর পুলিশ।