ক্যানিং: ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Inner Clash)। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নতুন কিছু নয়। এবার দলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত ক্যানিং (Canning)। রাস্তায় ফেলে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই কর্মী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের মলরাপিয়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী জহিরুল মণ্ডল। সেই সময় স্থানীয় যুব তৃণমূল কর্মীরা জহিরুলকে লক্ষ করে গালিগালাজ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করেন জহিরুল। এরপরই বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তিন জন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন জহিরুল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী এলাকায় বহুদিন ধরেই মূল তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের লড়াই চলছে। দুই তৃণমূলের মধ্যে প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে ওই সব এলাকায়। এর জেরে মৃত্যুর ঘটনাও নতুন কিছু নয়। দলের অন্দরেই বলাবলি হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই দুই গোষ্ঠীর গোলমালে উত্তপ্ত হবে ক্যানিং, গোসাবা ও বাসন্তীর মাটি। স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাস যুব তৃণমূলের নেতা। অন্যদিকে জহিরুল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ। সোমবারের গোলমাল নিয়ে অবশ্য পরেশরাম মুখ খুলতে চাননি। তবে অঞ্চল যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক জালাউদ্দিন সর্দার বলেন, দলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বেই যুবদের উপর লাগাতার হামলা চলছে। ওরা আইএসএফের সঙ্গে জোট বেধে ঝামেলা করছে। এদিনের ঘটনা নিয়ে দুই গোষ্ঠীই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।