পূর্ব মেদিনীপুর: বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১ বিজেপি কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমে রাধাকান্ত দাস নামে মূল অভিযুক্ত ওই বিজেপিকর্মীকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। প্রথম দফা নির্বাচনে রবীন্দ্রনাথ মান্না নামে স্থানীয় ওই তৃণমূল কর্মী দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত তৃণমূলকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখে করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডিকে।
আরও পড়ুন:বিধায়কদের আচরণবিধি নিয়ে তৃণমূলের ভোকাল টনিক
সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল নন্দীগ্রামের বয়াল এলাকার বাসিন্দা রাধাকান্ত দাস ওরফে মিঠুন। বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়ে খেজুরি থেকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত দাসকে পাকড়াও করে সিআইডি। ধৃতকে হলদিয়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্নার উপর হামলার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর, রাধাকান্ত দাস ওরফে মিঠুন এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূলের দাবি, খুনের ষড়যন্ত্রে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। বিজেপির বক্তব্য, নন্দীগ্রামে শাসকদলের পরাজয় হয়েছে। এ রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনায় কেন তদন্ত হয়না সেই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। শুধু রাজনৈতিক আক্রোশ মেটাতেই প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়। এই পরিস্থিতির বদল হওয়া দরকার বলেও দাবিও তুলেছে বিজেপি।