বাঁকুড়া: প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শিরোনামে ছিলেন। ভোটে জিতলেও বিধায়ক হিসেবে মাসে কত টাকা মাইনে পাবেন, তাও জানতেন না। এর পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়েও বিপাকে পড়েছিলেন। খরচ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ফের শিরোনামে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী চন্দনা বাউরি। সৌজন্যে ‘দ্বিতীয় বিয়ে’।
স্বামী-সন্তান ছেড়ে গাড়ির চালক তথা দলেরই কর্মী কৃষ্ণ কুন্ডুকে বিয়ে করে বসলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গাজলঘাটি থানায় যান তিনি। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের জানান, বুধবার রাতে তিনি দলের এক কর্মীকে বিয়ে করেছেন। পুরো বিষয়টি মৌখিক ভাবে থানায় জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপির দখলে থাকা কুলতলির দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি এলাকায়। বিধায়কের এই কাজে বিজেপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের সকলেই নিন্দায় সরব হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে থানা থেকে বেরোনোর সময় মুখ খোলেননি বিধায়ক। গঙ্গাজলঘাটি থানা থেকে মুখ ঢাকা দিয়ে বেরিয়ে যান চন্দনা। তাঁর স্বামী ঘটনার কথা মানতে চাননি।
সূত্রের খবর, বিধায়ক চন্দনা বাউরি বিষয়টি মৌখিক ভাবে থানায় জানিয়েছেন। লিখিত আকারে কিছু জানাননি। কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রূম্পা কুন্ডু গঙ্গাজলঘাটি থানায় তাঁর স্বামী ও বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ওই দু’জন বেআইনি ভাবে বিয়ে করেছে।
যদিও চন্দনাদেবী পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘পারিবারিক সমস্যার জন্য রেগে গিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। স্বামী-স্ত্রীর সমস্যা সমাধান করে ফিরেছি। বিরোধী দলের নেতারা কুৎসা ছড়াচ্ছেন। এর আগেও আমার নামে উল্টোপাল্টা বলা হয়েছিল। ফেক নিউস ছড়ানো হচ্ছে। দু’জনের একসঙ্গে ছবিটিও মিথ্যে।’ কৃষ্ণ কুন্ডু স্ত্রীর দাবি, তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।