দোহাতে বিশ্ব কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের শেষ তিনটি ম্যাচ খেলতে গেছে সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল। ম্যাচ রয়েছে তিনটি। ৩ জুন খেলা কাতারের সঙ্গে। ৭ জুন ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। আর ১৫ জুন শেষ ম্যাচে ভারত খেলবে আফগানিস্থানের সঙ্গে। ২০২২-এর কাতার বিশ্ব কাপে কোয়ালিফাই করার কোনও আশা নেই ভারতের। কারণ পাঁচ দলের গ্রূপে পাঁচ ম্যাচ খেলে ভারতের পয়েন্ট মাত্র চার। এখন পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি ইগর স্টিমাকের কোচিংয়ে খেলা ভারতীয় দল। তবে আই তিনটি ম্যাচে ভাল ফল করলে ২০২৩-এর এ এফ সি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে পারে ভারত। এই টুর্নামেন্টে ভারত শেষ খেলেছিল ২০১১ সালে কাতারের দোহায়।
তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল কী হবে তা অনুমানের বিষয় হলেও এই মুহুর্তে ভারতীয় ফুটবলারদের অবস্থা বেশ সঙ্গিন। দোহায় পৌছনোর পর কোয়ারিন্টিনে যাতে না থাকতে হয় সেজন্য কাতার ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করেছিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সেই অনুরোধ রক্ষিত হয়েছে বলা যায়। কারণ প্রতিদিন বিকেলে স্টিমাকের ছেলেরা মাঠে গিয়েই প্র্যাক্টিস করছে। কিন্তু বাকি সময়টা হোটেলের ঘরে তাদের খুবই খারাপ অবস্থা। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়া নিষেধ। লাঞ্চ, ডিনার সবই ঘরের মধ্যে। এমন কি টিম মিটিংয়েরও কোনও সুযোগ নেই। নিজেদের মধ্যে যা আলোচনা সবই হচ্ছে জুম কলে। বিকেলের প্র্যাক্টিসটুকু ছাড়া একজনের সঙ্গে অন্যজনের মুখদর্শন হচ্ছে না। এই অবস্থায় ভাল ফুটবল খেলা কতটা সম্ভব তা নিয়ে জুম কলে প্রশ্ন তুললেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাক। সঙ্গত কারণেই স্টিমাকের সঙ্গে ভারতের চুক্তি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে শ্যাম থাপার চেয়ারম্যানশিপে থাকা টেকনিক্যাল কমিটি। নিজেদের মধ্যে জুম কলে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আই এস এল শেষ হওয়ার পর ভারতীয় দল দুটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল দুবাইয়ে। সেটাও সেই মার্চের দ্বিতীয়ার্দ্ধে। তার পর থেকে দোহা যাওয়ার আগে প্র্যাক্টিস হয়নি ভারতীয় দলের। কলকাতা শিবির বাতিল হয়ে গেছে করোনার জন্য, যা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২ মে। দোহা গিয়েই প্র্যাক্টিস হচ্ছে ভারতীয় দলের। এর মধ্যে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলার ইচ্ছে থাকলেও তা পূর্ণ হয়নি। সব মিলিয়ে একে বায়োবাবল, তার উপরে কম প্র্যাক্টিস। বাকি তিনটি ম্যাচে, তাই, সুনীল ছেত্রীদের কাছ থেকে দুর্দান্ত কনও পারফরম্যান্স আশা না করাই ভাল।