কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : নিম্নচাপের জের। বুধবার রাত থেকেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলা। বিভিন্ন নদী প্লাবিত হয়ে সড়কপথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বহু গ্রাম, চাষের জমি তলিয়ে গেছে জলের তলায়। ফলে, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মেদিনীপুর
শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে জলে ভাসল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লক। এই ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আকতকোলা ও যদুপুরে ভাঙলো শিলাবতী নদীর বাঁধ। ফলে প্রায় ৫০ টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। এমনিতেই চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ভোতাখালি গ্রাম বন্যার জলে ভাসছে। গ্রামের মানুষকে উদ্ধার করার জন্য আনা হচ্ছে NDRF।
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে জল থই থই কলকাতা, দিনভর মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাঁকুড়া
বাঁকুড়া ঝাড়্গ্রাম রাজ্য সড়ক জলের তলায়। বাঁকুড়ার সিমলাপালের শিলাবতী নদীর জল বয়ছে সেতুর ওপর দিয়ে। ফলে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা । অন্যদিকে, বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে চামকরা রাস্তায় গন্ধেশ্বরী নদীর জল বইছে সেতুর ওপর দিয়ে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাঁকুড়ার কোতুলপুর জয়রামবাটিরও বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ। আমোদর নদের জলে জয়রামবাটি ঢোকার রাস্তা জলে ভাসছে। আমোদরের জলে বিস্তৃর্ন এলাকা আমোদরের জলে জলবন্দি।
বর্ধমান
গত দুদিনের বৃষ্টিতে কাটোয়া মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। কয়েকদিন আগেই চাষিরা এই জমিতে আমনের বীজ বপন করেছিল। নতুন করে চাষিদের ফের ধানের চারা তৈরি করতে হবে তারপর আবার বপন করতে হবে ফলে পিছিয়ে গেল চাষের কাজ। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কয়েক হাজার কৃষক ।
দুর্গাপুর
বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিতে দামোদরের জলাধারের জল বেড়ে যাওয়ায় দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান বেড়েছে। জল ছাড়ার পরিমান এখন ৪৭,৬০০ কিউসেক। এমনিতেই তিন দিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। দামোদরের জল ছাড়ার পরিমান বাড়লে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ কৃষি জমি, বেকায়দায় চাষিরা
বীরভূম
ক্রমাগত নিম্নচাপের জেরে বীরভূমে অজয়, ময়ূরাক্ষীর পাশাপাশি বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে শাল নদী। দুবরাজপুর থেকে খয়রাশোল যাওয়ার রাস্তা জলমগ্ন, শঙ্কায় রয়েছেন নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় জল জমে যায়। ফলে যাতায়াত বন্ধ হয়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জনজীবন।
বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শহর কলকাতার বিভিন্ন রাস্তাও জলের তলায়। পাম্পিং স্টেশনগুলি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে জল নামানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও বেশ কিছু এলাকা এখনও জলের তলায়।