কলকাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধোলাহাট থানার রামগোপাল পুরের বাসিন্দা শামীমা খাতুন (নাম পরিবর্তিত)। জন্ম ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রাইভেট টিউশনি পড়তে বের হয়। অভিযোগ, সেই সময় সাদ্দাম(পরিবর্তিত নাম) সহ ৪-৫ জন তাকে অপহরণ করে। অভিযোগ সাদ্দাম তার শ্লীলতাহানি করে। শামীমার মা ধোলাহাট থানায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার সময় শামীমার বয়স ছিল ১৭ বছর। ফলে সাদ্দামের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় সাদ্দামকে।
সাদ্দামের জেল জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। সেই খবর আসতে থাকে শামীমার কাছে। অজান্তেই শামীমার মনে জায়গা করে নেয় সাদ্দাম। সেই হৃদয় ভালোবাসার কথা শামীমা তার মাকে জানায়। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজি হন মা। প্রস্তাব যায় সাদ্দামের বাড়িতে। প্রস্তাব পৌঁছায় জেলে সাদ্দামের কাছেও।
ইতিমধ্যে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সাদ্দাম। সাদ্দামের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আদালতে বলেন, শামীমাকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলে ছিল সাদ্দাম। সেই ভালোবাসার আবেগ থেকেই এই ঘটনা ঘটে। আইনজীবী আদালতে আরও জানান, আগামী জানুয়ারিতে শামীমার ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সে রাজি থাকলে সাদ্দাম তাকে বিবাহ করতে রাজি আছে। অপরদিকে, শামীমার পক্ষ থেকেও সম্মতির কথা জানানো হয় আদালতে।
আরও পড়ুন-খারিজ হাই কোর্টের রায়, পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোয় ছাড়পত্র সুপ্রিম কোর্টের
সব শুনে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন সাদ্দামকে জানুয়ারির পর ৬ মাসের মধ্যে শামীমাকে বিবাহ করতে হবে। এই শর্তে সাদ্দামকে ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করা হল। তারমধ্যে তাকে শামীমকে বিবাহ করতে হবে। নতুবা তার জামিন বাতিল হবে।
পুজো অবকাশে কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রতিশ্রুতির ঘটনায় আবেদনকারীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কাছে মিষ্টি খাওয়ানোর দাবি করতে থাকেন উপস্থিত আইনজীবীরা। মুহুর্তের মধ্যে আদালতের পরিবেশ হয়ে ওঠে আনন্দ মুখর।