সাগর: পূর্ব মেদিনীপুরে পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ৭ মৎস্যজীবী। শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে যাচ্ছিল ১২ জন মৎস্যজীবীর একটি দল। আচমকাই ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয় ২ জনের। তিনজন সাঁতরে বেঁচে ফিরলেও খোঁজ মেলেনি ৭ জনের। গতকাল থেকেই নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্তও খোঁজ মেলেনি ওই ৭ মৎস্যজীবীর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে রওনা দেয় আল আমিন নামে ওই ট্রলারটি। তাতে ছিলেন ১২ জন মৎস্যজীবী। শুক্রবার পেটুয়াঘাট বন্দরে ঢোকার মুখে বিপত্তি ঘটে। সেসময় নদীর স্রোত বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। তিন জন মৎস্যজীবী কোনওরকমে সাঁতরে বেঁচে ফেরেন। তাঁরাই পরে স্থানীয়দের ট্রলারডুবির খবর দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিস এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। তারা ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালান।
পুলিস জানায়, তল্লাশি চালিয়ে দুই মৎস্যজীবীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। মৃতদের নাম খুরশেদ খাঁ ও সফিরুল খাঁ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুমতি নগর গ্রামে। একই পরিবারে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে খাঁ বাড়িতে।
আরও পড়ুন: Howrah Disruption: পয়গম্বর বিতর্কে অশান্তি, উলুবেড়িয়া মহকুমা জুড়ে ১৪৪ ধারা
৭ মৎস্যজীবীর খোঁজে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি। উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।