নয়াদিল্লি: ২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে৷ সব মিলিয়ে ২৬টি নতুন বিল এই অধিবেশনে আনতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১’৷ কলকাতা টিভি ডিজিটালের হাতে সেই তথ্য এক্সক্লুসিভ নথি এসে পৌঁছেছে৷ তালিকার ২৫ নম্বর রয়েছে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১’৷ শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই বিল পেশ করা হবে৷
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি বিল সংসদে আনা হয়৷ এক প্রকার জোর করে পাস করিয়ে নেওয়া হয়৷ তারপরই রাষ্ট্রপতির সাক্ষর করে আইনে পরিনত করা হয়৷ আর পর থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন কৃষক আন্দোলন শুরু করে৷ তাঁদের একটাই দাবি, যে কোনও ভাবেই তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে৷’ আগমী বৃহস্পতিবার অর্থ্যাৎ, ২৫ নভেম্বর সেই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি৷ তার আগেই করোনা,লকডাউন, বর্ষা, শীত উপেক্ষা করা ‘নাছোড়বান্দা’ কৃষকদের হার মানে কেন্দ্র৷ গত ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে৷ সেই ঘোষণায় আনন্দে ভাষে কৃষকরা৷ কিন্তু, তিন আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান৷ আগামী ২৯ নভেম্বর সেই আন্দোলনের শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল৷
তিন কৃষি আইন কী কী? এক, ‘অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) আইন’ বা ‘দ্য এসেনশিয়াল কমোডিটিজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট’। দুই, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইন’ বা ‘ফারমার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিয়েশন) অ্যাক্ট’। এবং তৃতীয়টি ‘কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন (মূল্য এবং কৃষি পরিষেবাসংক্রান্ত) আইন’ বা ‘ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) অ্যাগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট’।
আরও পড়ুন-রাজ্য-রাজ্যপাল ফের সংঘাত, কমিশনকে কড়া চিঠি ধনখড়ের
এই তিন আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের অভিযোগ ছিল যে, এই আইন সরকারি সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা। উৎপাদিত কৃষিপণ্য কেনার দায় সরকার নিজেদের ঘাড় রাখতে চাই না। ফলে, বর্তমানে কৃষকরা যে পরিমাণ সহায়ক মূল্য পাই, তা বেসরকারি সংস্থা বা কোনো ব্যবসায়ী দেবেন না। সরকার চাল, ডাল, গম, ভোজ্যতেল, তৈলবীজ ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমার নিয়ন্ত্রণ থাকবে না৷ ঘুরপথে বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে মূল্য নির্ধারণ করবে।