মেদিনীপুর: তমলুকে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা। অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ওঁকে জিজ্ঞাসা করুন হলদিয়ায় কী কী আছে ওর? নন্দীগ্রামে কী কী রয়েছে? ক’টা পেট্রোল পাম্প? সব জিজ্ঞাসা করুন। জিজ্ঞাসা করুন, টাকা কখনও নেয়নি? কিন্তু উত্তর পাবেন না।
বৃহস্পতিবার তমলুকের নির্বাচনী সভায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের (Nandigram Violence) প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল, আমার গাড়িতে কোলাঘাটে পেট্রল বোমা মারার চক্রান্ত হয়েছিল। আমি রাস্তায় আপনাদের জেলার কোনও নেতাকে (পড়ুন শুভেন্দু, শিশির) দেখিনি। আমি আনিসুরকে ডেকে পাঠাই যে এখন জেলে আছে ওই গদ্দারটার জন্য। অপারেশন নন্দীগ্রামের দিন আমি তৃণমূল ভবনে ছিলাম। ১০ দিন পিতা-পুত্র ঘর থেকে বেরয়নি। আমার বইতে সব লেখা আছে। ওরা তখন তৃণমূলে ছিল, পরের বার মুছে দেব ওদের নাম।
আরও পড়ুন: শিক্ষা দুর্নীতির দায় পার্থর ঘাড়ে চাপালেন কুণাল
শুভেন্দুর নাম না করে মমতা বলেন, আমি দীঘার রাস্তায় বলেছিলাম এখানে বাড়ি বানাব, রেগে গাড়ি থেকে নেমে গেল। বাবা কেন মন্ত্রী হবে উনি কেন হলেন না তাই নিয়ে গোঁসা হয়েছিল। তাই বাবার শপথ গ্রহণে যায়নি। এখন দেখছেন কত ক্ষমতা, যেন গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট, ওনার এক পকেটে বোমা, অন্য পকেটে সিবিআই। বলেছিল, বোমা ফাটাব। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খাওয়া বোমা? ওই রায় ওই দিন বেরোবে ৪৮ ঘন্টা আগে জানলে কী করে? রায়টা লিখে দিয়েছিলে? একজনের মৃত্যু হলে তোমার বাড়ির সামনে গিয়ে বিচার চাইব।
রেগেমেগে মমতা বলেন, তৃণমূল চুরি শিখেছে তোদের (শুভেন্দু) মতো অপদার্থদের জন্যে, এখন বিজেপিতে পালিয়েছে যাতে ইডি না ধরে, সিবিআই না ধরে। অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে নিশানা করে মমতা বলেন, এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী তিনিই প্রথম সই করেছিলেন চাকরি যাওয়ার কাগজে। বিচারপতির আসনে বসে বিজেপি করতেন। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেই বলেছিলেন সে কথা। আপনি তো বিচারালয়ের কলঙ্ক। উনি যেন ভগবান, যে মানুষটা আপনাদের চাকরি খেয়েছেন তিনি আপনাদের এখানে প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন, বিতাড়িত করে দিন। আমাকে পদত্যাগ করতে বলার আগে গে নিজের লজ্জা ঢাকুন।
দেখুন ভিডিও