কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : ড্রোন করে আকাশপথে পৌঁছে দেওয়া হবে জীবনদায়ী ওষুধ। তেলাঙ্গানার মত এবার এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডেও।
২০১৯ সালে ‘মেডিসিন ফ্রম স্কাই’ প্রকল্প চালু করেছে তেলাঙ্গানা সরকার। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিনও পৌঁছে দিয়েছে সেই রাজ্যের সরকার। এবার এই একই পদ্ধতি বেছে নিল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ড।
এই উদ্যোগে সাহায্য করবে ব্লু ডার্ট নামের ডেলিভারি সংস্থা। যারা জানিয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে ৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ওষুধ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানো যাবে।
অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক ও অসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তর ড্রোন পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি বম্বেকে।
আরও পড়ুন – করোনায় মৃতের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির অভিযোগ, ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ড্রোন ৩ হাজার মিটার পর্যন্ত ‘বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল লাইন অফ সাইট’ উড়বে। এতে করেই ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আইআইটি বম্বে নিজেদের ক্যাম্পাসের মধ্যে এই বিষয়ে গবেষণার অনুমতি পেয়েছে। প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, ড্রোন মারফত জীবনদায়ী ওষুধ এবং ভ্যাকসিন পাঠানোর ছাড়পত্রটির মেয়াদ এক বছর।
আরও পড়ুন – করোনার প্রথম টিকা না নিলে ছুটি বাধ্যতামূলক, পঞ্জাব সরকারের নয়া নির্দেশ
৩ সেপ্টেম্বর তেলেঙ্গানার ভিকরাবাদে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই ড্রোন প্রকল্পের সূচনা করেন। যার মাধ্যমে ভিকরাবাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে কম সময় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে।
ট্রায়াল চলাকালীন ব্লু দর্টির সাহায্যে মাত্র ৯ মিনিটে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে ভ্যাকসিন। এরপরই মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ২০২৩ এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ড্রোন হাব হবে। ফলে অনেকক্ষেত্রে সুবিধা হবে।