শ্রীনগর: জম্মুর বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পর থেকেই ভারতীয় সেনায় নয়া চিন্তা ড্রোন। রবিবার রাতে জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। জওয়ানরা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালে সেগুলি গায়েব হয়ে যায়। রবিবারের পর সোমবার রাতেও জম্মুর কুঞ্জওয়ানি ও রতনুচক ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় দেখা মিলল সন্দেহভাজন ড্রোনের। পরপর তিনদিন আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলায় জম্মুতে সেনাঘাঁটিগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খতম লস্করের শীর্ষ কমান্ডার
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার রাত দেড়টা থেকে ভোর চারটের মধ্যে কালুচকে সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি গায়েব হয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে ফের ড্রোনের মাধ্যমে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। ড্রোনের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাহিনী। কাশ্মীরের পুলিশের আইজি বিজয় কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি দিয়েই এর মোকাবিলা করতে হবে।
শনিবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে এবং ১টা ৪২ মিনিটে জম্মু বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোন থেকে বোমা ফেলে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। হেলিকপ্টার পার্কিং এরিয়ায় বিস্ফোরণ দুটি হয়। বায়ুসেনার এক ওয়ারান্ট অফিসার এবং এক এয়ারম্যান জখম হন। রবিবারও রাতে জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সোমবার রাতেও জম্মুর আকাশে দেখা মিলল সন্দেহজনক ড্রোনের।
আরও পড়ুন: ট্যুইটারের ভারতীয় এমডি’র নামে এফআইআর
এদিকে উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শ্রীনগরের পারিমপোরা এলাকায় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তইবার কমান্ডার নাদিম আবরার এবং এক পাকিস্থানি জঙ্গিকে খতম করল সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক এবং দু’টি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।