সিঙ্গুর: ১৩ মাস পর সিঙ্গুরের ঠাকুরানী চকের বই ব্যবসায়ী খুনের কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার সিঙ্গুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের হিসাব রক্ষক ও তার বন্ধু। শনিবার অভিযুক্তদের মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস জানায়, সনৎ কুমার দাস নামে ওই বই ব্যাবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই আনন্দ নগরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটিতে বই-খাতা বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে যেতেন বকেয়া টাকা আনতে। ২০২১ সালের ২২ মার্চ শেষবার ওই স্কুলে বকেয়া টাকা আনতে গিয়েছিলেন সনৎ। তারপর থেকেই খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। দু’দিন পর দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ।
সিঙ্গুর থানায় পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে পুলিস। দীর্ঘ ১৩ মাস পর খুনের অভিযোগে ওই স্কুলের হিসাব রক্ষক ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার মূলচক্রী আদিত্য মাইতি নামে ওই স্কুলের হিসেবরক্ষক। তাঁর কাছ থেকে বকেয়া টাকা আনতেই স্কুলে গিয়েছিলেন সনৎ। সেখানে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুজন। তারপর আদিত্য লোহার ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে সনৎকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর বন্ধু শ্যামল সেনাপতিকে ডেকে মৃতদেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করে আদিত্য। সনতের দেহ বস্তায় বেঁধে দুর্গাপুর জাতীয় সড়কের পাশে ফেলে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: Kharagpur Jajpur Passenger: ট্রেনে ধোঁয়া, বেলদার কাছে থমকে গেল খড়গপুর-জাজপুর প্যাসেঞ্জার
তারপর থেকেই দুই বন্ধু পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় দুজন। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয় এদিন। তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতের পরিবার।