নয়াদিল্লি: ইওরোপে যেতে চাইলে কাজে দেবে না কোভিশিল্ড। মিলবে না ইওরোপিয় ইউনিয়নের প্রয়োজনীয় গ্রিন পাস। কেননা ইওরোপিও ইউনিয়নে ছাড়পত্র পায়নি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা। যদিও বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার করোনা টিকা তালিকায় কোভিশিল্ড রয়েছে। আগামী পয়লা জুলাই থেকে মিলবে ‘গ্রিন পাস’। যা কোনও ব্যক্তির করোনার টিকাকরণের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। ইওরোপের নতুন ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ নীতিতে কয়েকটি কোভিড-টিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নাম। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের নাম নেই।
আরও পড়ুন : রাজ্যে এল আরও ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড
১ জুলাই থেকে মিলবে ‘গ্রিন পাস’। যা ভ্রমণকারীর টিকাকরণের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। অথবা সম্প্রতি কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন ওই ভ্রমণকারী বা করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি এখনও পর্যন্ত ৪টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সেগুলি হল, কমিরনাটি (ফাইজার/ বায়োএনটেক), মডার্না, ভ্যাক্সজাভরিয়া (ব্রিটেন ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা) ও জ্যানসেন (জনসন অ্যান্ড জনসন)।
তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকারই ভারতীয় সংস্করণ, পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। তালিকায় নাম নেই হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনেরও।
আরও পড়ুন : সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীর
ইউরোপিও ইউনিয়নের কোভিড-১৯ পাসপোর্টের প্রয়োজনিয়তা কী?
ইইউ ‘গ্রিন পাস’ হচ্ছে একটি ডিজিটাল শংসাপত্র। জনগণের ভ্রমণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতেই, ইউরোপিযও ইউনিয়ন জারি করেছে এই শংসাপত্র। একইসঙ্গে কোভিডের কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ইউরোপিও ইউনিয়নের দেশগুলিতে যাতায়াতে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধানেও সদস্য দেশগুলিকে উত্সাহিত করা হচ্ছে।
১ জুলাই থেকে যাঁদের কাছে ‘গ্রিন পাস’ থাকবে তাঁদের ইউরোপিও ইউনিয়নের তালিকায় থাকা দেশগুলিতে প্রবেশের সময় কোভিড পরীক্ষা করাতে বা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
তিন ধরনের ‘গ্রিন পাস’ চালু হয়েছে।
টিকা পাসপোর্ট
পরীক্ষার শংসাপত্র
সুস্থততার শংসাপত্র
schengenvisainfo.com এর মতে, যে ব্যক্তিরা সম্প্রতি কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদেরও ইইউ কোভিড ভ্রমণ শংসাপত্র দিয়ে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে টিকা, বাড়ছে দাম
এ নিয়ে সোমবার সিরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা ট্যুইট করে বলেন, ‘শীঘ্রই সমাধানের আশা রাখছি’। তিনি জানান, কোভিশিল্ডকে তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টি দেখছেন। “সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছি এবং শিগগিরই এই বিষয়টি সমাধান করার আশাবাদী”। কোভিশিল্ড VS ভ্যাক্সজাভরিয়া।
ইউরোপিও ইউনিয়নের দেশগুলি বাদে, আইসল্যান্ড ও নরওয়ের মতো দেশও ‘গ্রিন পাস’ শংসাপত্র জারি করছে।