টানা দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হল নিউমার্কেটের বছর ৩৫ এর তরুণ প্রোমোটার সঈফ খানের। বৃহস্পতিবার তাঁর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন জামতাড়ার একটি রাস্তার ধারের ধান ক্ষেতের মধ্যে ওই প্রোমোটারের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জামার পকেটে থাকা পরিচয়পত্র দেখে প্রমোটারকে শনাক্ত করে জামতাড়ার মিহিজাম থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নিউমার্কেট থানাকে। এরপর নিউমার্কেট থানা থেকে পুলিশ গিয়ে বিষয়টি জানায় প্রোমোটারের বাড়ির লোকজনকে। কি কারনে এই খুন সেই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে পুলিশের মধ্যেই। কলকাতা ছেড়ে ওই প্রোমোটার কেনই বা জামতাড়া গেলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছে পুলিশ। এই রহস্যজনক খুনের ঘটনায় তদন্তের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নিউমার্কেট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে উদ্ধার ২৩ লক্ষ টাকার সোনা, গ্রেফতার ১
নিউমার্কেটের রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের বাসিন্দা ছিলেন ওই তরুণ প্রোমোটার। বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মেলেনি। রাতে তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন নিউমার্কেট থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তে নামে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার জামতাড়ার মিহিজাম থানার ওসি ফোন করে বিষয়টি জানান নিউমার্কেট থানা কে। বলা হয়, রাস্তার ধারে ধানক্ষেত থেকে ওই প্রোমোটারের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এদিনই জামতাড়া রওনা দেন। প্রোমোটারের স্ত্রী জানান, কলকাতা ছেড়ে আমার স্বামী জামতাড়া গেলেন কেন সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলছি। তবে কি প্রোমোটারি ব্যবসার গোলমাল থেকে এই খুন? কোন তোলাবাজি কিংবা অপহরণকারী চক্রের হাত রয়েছে এই খুনের পেছনে? নাকি পরকীয়া প্রেমের বলি ওই প্রোমোটার? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।