করোনা থেকে বাঁচার দুটি উপায় রয়েছে। কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা এবং গণটিকাকরণ। ভ্যাকসিন না নেওয়া অত্যন্ত বিপদজ্জনক হতে পারে। দ্রুত ভ্যাকসিন নিন। ৭৮ তম ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুতগতিতে দেশে টিকাকরণ চলছে। প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বানও জানান নমো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রয়েছে। সকল দেশবাসীকে একত্রে লড়তে হবে কোভিডের বিরুদ্ধে। ২১ জুন থেকে গণটিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেদিনই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন (৮৬ লক্ষ)। এ পর্যন্ত ৩১ কোটির বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, এত ভ্যাকসিন কীভাবে আসবে? কিন্ত তা করে দেখিয়েছে দেশ। চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।
দেশবাসীর মধ্যে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত আতঙ্ক কাটাতে মোদি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সামান্য জ্বর আসতে পারে। কিন্তু তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমিও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছি। আমার মা-ও নিয়েছেন। আমাদের বিজ্ঞানের ওপর ভরসা রাখতে হবে। কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না। আপনার নাম আসলে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিন।
আরও পড়ুন: সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুও
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, যারা করোনা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে, তাদের করতে দিন। আমরা আমাদের কাজ করি। আমাদের আশেপাশের মানুষজনের যাতে টিকা নেয় তাও নজর রাখি। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট ১৮ ঊর্ধ্ব জনসংখ্যার ৫.৬ শতাংশ কোভিড টিকার দু’টি ডোজই পেয়েছে।
এদিকে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের বাড়ল। গত ২৪ ঘণ্টার মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩। তবে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে স্বস্তির খবরও আছে। এই নিয়ে টানা ২০ দিন দেশে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের কম। গত ২৪ ঘণ্টার মোট করোনা পরীক্ষার ২.৮২ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২৫৮ জনের৷ করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৫১৷
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেলায় জেলায় সতর্কতা
এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৫,৮৬,৪০৩টি৷ অর্থাৎ, দেশে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ৩২ কোটি ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।