কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে হবে।
ভোটের ফল প্রকাশের দিন অভিজিৎ সরকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎকে বেধড়ক মারধর করেন৷ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ কর্মী অভিজিৎ বিজেপি-র ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।
অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সেদিন বলেছিলেন, নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পরই এলাকার বিধায়ক পরেশ পালের নির্দেশে ভাইকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ পরেশ পালের অনুগতরাই এই কাণ্ড ঘটান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন৷ এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে শুক্রবার একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট-
১) প্রত্যেক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত হবে।
২) ভুক্তভোগীদের গোপন জবানবন্দী দিতে হবে।
৩) আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
৪) অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে।
৫) আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে।
৬) যাদবপুরের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে বেঞ্চ।
৭) ওই দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিসি সাউথ রশিদ মুনিরকে শোকজ করল আদালত।
৮) যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সরকারকে তাঁদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।