রবিবার দুপুরে মারা গেলেন বামনেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। প্রেসিডেন্সি কলেজের এই প্রাক্তনী প্রথমজীবনে সাংবাদিকতাও করেন। পরে রাজনীতির ময়দানের দাপুটে এই বাম নেত্রীর লড়াই মনে রাখবেন অবহেলিত সমাজের নাগরিকরা। মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই আন্দোলনের ময়দানে থেকেছেন অগ্রণী যোদ্ধা হয়ে। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী লড়াইয়ের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কমরেড শর্মিষ্ঠা। পাশাপাশি নারী আন্দোলনের কাজে ছিলেন অবিচল, ‘Women Against Sexual Harassment and State Oppression ‘-এর পক্ষ থেকে ছুটে গেছেন নন্দীগ্রাম থেকে বস্তারে। তখন থেকেই রাজনীতির ময়দানে কমরেড শর্মিষ্ঠা হিসেবে পথচলার শুরু। সম্প্রতি বাংলার বুকে গড়ে ওঠা ‘ ফ্যাসিস্ট আরএসএস-বিজেপি’র বিরুদ্ধে বাংলা’ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। বর্তমানে যুক্ত ছিলেন সিপিআইএমএল (রেড স্টার)- এর সঙ্গে। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কেউ বলছেন শর্মিষ্ঠার প্রয়াণের কারণ ক্রোনস ডিজিজ। আবার কেউ বলছেন কোভিড সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। তবে অসময়ে তাঁর না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। গণ আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক ও নেত্রীর এভাবে চলে যাওয়ায় শোক রাজনৈতিক মহলে। শ্রমিক আন্দোলন, নারী আন্দোলন ও ভাঙড়ের কৃষক আন্দোলনে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নেত্রীর অকাল মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁর এই অকাল মৃত্যু বামপন্থী লড়াই-আন্দোলনে বড় ক্ষতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।