রসগোল্লার সঙ্গে চাট। চকলেটের সঙ্গে দই। সরপুরিয়া নাকি মনোরঞ্জন? কী শুনতে অবাক লাগছে? অদ্ভুত লাগলেও এই ধরণের মিষ্টি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বর্ধমানের গুসকরার এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। উপলক্ষ্য জামাইষষ্ঠী।
বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ -এর অন্যতম হলো জামাইষষ্ঠী। আর এই জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে নানান খাবার দিয়ে সাজিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রকমারি খাবারের মধ্যে জামাইয়ের পাতে থাকে হরেক রকমের মিষ্টান্নও। এই জামাইষষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই স্পেশাল সব মিষ্টান্ন বানিয়েছেন গুসকরার ওই মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী।
রকমারি মিষ্টির তালিকায় রয়েছে রসগোল্লা চাট, বাসমতি চালের পায়েস, পনির রোল, মনোরঞ্জন সরপুরিয়া, চকলেট দই, বেত রসগোল্লা প্রভৃতি লোভনীয় বিভিন্ন রকম মিষ্টি। অভিনব এইসব মিষ্টির নাম শুনলে চমকে যেতে হয়। মিষ্টির সঙ্গে আরো অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ফিউশন তৈরি করার এই প্রক্রিয়া এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এ বছর নতুন নয়, গত কয়েক বছর ধরেই জামাইষষ্ঠীর বাজার ধরতে অভিনব এই মিষ্টিগুলো বানাচ্ছেন তিনি। গত দু’বছর করোনা আবহে মিষ্টি বিক্রির বাজার ততখানি চড়া না থাকলেও অভিনব এই মিষ্টিগুলি কিনতে জামাইষষ্ঠীর আগে দোকানে ভালোই ভিড় জমাচ্ছেন গুসকরা শহরের শ্বশুর শাশুড়িরা। গুসকরা শহর তো বটেই আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু মানুষ আসছেন অভিনব নাম ও স্বাদের এই মিষ্টান্ন কিনতে।