ঢাকা: পর্নোগ্রাফির ব্যবসা নিয়ে উত্তাল ভারত। দেশের একাধিক প্রান্তে এই কারবারের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে অভিযান চালানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ী এবং অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার কর হয়েছে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালানোর জন্য। এবার সেই একই অপরাধ চক্রের খোঁজ পাওয়া গেল পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন- প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা কেন পাচ্ছেন না ক্ষতিপূরণ, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত
মাদক এবং পর্নোগ্রাফির ব্যবসার সঙ্গে জড়ির থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িক পরীমনির বিরুদ্ধে। চলতি সপ্তাহের বুধবার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে চলে তল্লাশি। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ দল র্যাব অভিযান চালায় অভিনেত্রী পরীমনির বাড়িতে। র্যাবের অভিযানে সময়ে ফেসবুক লাইভ করে ঘটনার কথা জানান অভিনেত্রী। তারপরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে ৭০ লক্ষ কালো টাকাসহ গ্রেফতার ৭ গুজরাটি
মাদক বা পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু নয়, ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতানোর অভিযোগও রয়েছে। বনানীর ফ্ল্যাট থেকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিনেত্রী পরীমনিকে। তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং বিদেশি সগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে রাশিয়ান ভদকা, জিন, টাকিলা, হুইস্কি ও বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে টাকার লোভেই পর্নোগ্রাফির কারবারে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী পরীমনি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে ঢাকার গ্ল্যামার জগতের বহু নায়িকা পরীমনির মতোই পর্নোগ্রাফির কারবারে জড়িত। সেই সঙ্গে মাদক এবং ব্ল্যাকমেইলিং তো রয়েছেই। তালিকায় মডেল নায়লা, জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। পর্নোচক্রে আরও নাম আছে জনৈক মৃদুলা ও অহনার। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র্যাবের তালিকায়। এদের মধ্যে মডেল নায়লা নাঈম যে কোনও মূহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন অলে জানা গিয়েছে সুত্র মারফত।