কলকাতা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আইসিসি এবং সারজা কর্তৃপক্ষে তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও মমতাকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও মমতা যাবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালে কলকাতায় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতা। যুবভারতীতে উপস্থিতও হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিদেশে আয়োজিত কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই প্রথম আমন্ত্রণ পেলেন তিনি। এখন মমতা উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। শিলিগুড়ির থেকে আজ, বৃহস্পতিবার গোয়া যাবেন মমতা। আরব সাগরের তীরে বেশ কয়েকদিন থাকবেন মমতা। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, তার পরেই দুবাই যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ইতালি সফর নাকচের কারণ করোনা নাকি কেন্দ্রের ঘৃণ্য রাজনীতি ?
এর আগে অক্টোবরে ইতালি সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতা। ইতালির একটি সংগঠন মমতাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগদানের ব্যাপারে সম্মতিও জানিয়েছিলেন। কায়রোর গ্রেট ইমাম থেকে খ্রিস্টান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। যদিও মমতার ইতালি সফরের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের এক যুগ্মসচিব চিঠি দিয়ে সফর বাতিল করার বিষয়টি জানান।
সৌরভের সঙ্গে মমতা
তিনি চিঠিতে লেখেন, এই অনুষ্ঠান একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তৃণমূলের একটা অংশ দাবি করেছিল, পুরোপুরি রাজনৈতিক কারণে এই সফর বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায় জোড়াফুল শিবির। মমতাও একাধিকবার এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি অভিযোগ তোলেন।বিদেশমন্ত্রকের তরফে এবার মমতা ‘ওকে লেটার’ পান কি না, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জয়ে উৎসব পালনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা: যোগী আদিত্যনাথ
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ওমানে অনুষ্ঠিত হলেও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন ভারতই। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যই বিশ্বকাপ সরাতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় বোর্ড। আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন। সাধারণত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, মমতার বিশ্বব্যাপী পরিচিতিই আমন্ত্রণ পাওয়ার অন্যতম কারণ।