প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার জাতির উদ্দেশে বলছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও কিন্তু দেশ থেকে পুরোপুরি চলে যায়নি। তাই কোভিড প্রটোকল মেনে চলুন। কিন্তু পরের দিনই দেখা গেল ঠিক উল্টো চিত্র।কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ রেল কর্তৃপক্ষই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘন করে প্রায় ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ওয়ার্কশপে। এই বিধিভঙ্গের কারণে এরই মধ্যে খড়গপুর মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। বুধবার মহকুমাশাসক আজমল হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা আছে। এ ভাবে কর্মীবৃন্দ থেকে পুরো খড়্গপুর শহরকে বিপদে ফেলা উচিত নয়। তা ছাড়া, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই, রেলওয়ের চিফ ওয়ার্কশপ ম্যানেজারকে এর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছি।”
করোনা রুখতে রাজ্য সরকারের কড়া বিধিনিষেধ এখনও জারি আছে রাজ্যে। কোভিড বিধি মেনে সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে স্যানিটাইজেশন সহ জরুরি কিছু কাজের ওপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, রেলের ওয়ার্কশপে এমন কোনও বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না বলে রেল কর্মীরাও অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রেলের চিফ ওয়ার্কশপ ম্যানেজার বিজয় কুমার রথ বলেছেন, “এসব যাঁরা বলছেন, ভুল বলছেন। আমরা রেল বোর্ডের গাইডলাইন মেনেও কোভিড বিধি পালন করে ন্যূনতম কর্মী নিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। স্যানিটাইজেশনের কাজ হচ্ছে এবং অক্সিজেন পরিবহণ হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্যই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।”