কলকাতা: সন্দেশখালিতে অস্ত্র্রের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এরপর আর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আঁকড়ে থাকার অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি শাহজাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীকে লালনপালন করে আসছেন তিনি। শুক্রবার অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজে এনএসজি রোবট নামিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, লোক দেখানো কারবার। তাঁর প্রশ্ন, খবর দিয়ে, লোক ডাকিয়ে নাটক করা হচ্ছে না তো? তাঁর সন্দেহ, বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র এনে মজুত করা হয়েছে। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন বসিরহাটে পুলিশ সুপারের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
সিবিআই এদিন রুটিন তল্লাশি চালাতে গিয়ে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে বহু অস্ত্র পেয়েছে। মিলেছে প্রচুর বিস্ফোরক। সেই অভিযানে ছিল সিবিআই ছাড়াও ইডি, এনআইএ, সিআরপিএফ এবং এনএসজি। এদিন এনএসজি বিস্ফোরক উদ্ধার করতে রোবট নামিয়েছে। বাংলায় এনএসজির রোবট নামানো নজিরবিহীন ঘটনা। তৃণমূল আবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, লোক দেখানো কারবার।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে বিস্ফোরকের সন্ধানে রোবট দিয়ে তল্লাশি এনএসজির
এই তল্লাশি অভিযান চলে দুপুর থেকে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সিবিআই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে। তারপরই এনএসজি নামানোর সবুজ সংকেত আসে। এনএসজি এসে গোটা এলাকার দখল নিয়ে নেয়। এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এনএসজির রোবট একটি বাড়ির তালাবন্ধ ঘরে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক এক ব্যাগের সন্ধান পায়। সেটিকে নিষ্ক্রিয় করার অভিযান চলে রাত পর্যন্ত।