কলকাতা: লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য-রাজনীতিতে জোর শোরগোল। এই মুহূর্তে দুর্নীতির অভিযোগে গলা অবধি ডুবে আছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। প্রধান বিরোধি শিবির বিজেপি-তেও নানান সময় নানান ডামাডোল। ধর্মান্ধতার অভিযোগ উঠছে বারবার। এমতাবস্তায় আম জনতার হাহাকার শুনবে কে? এই প্রশ্ন যখন বারবার ফিরে ফিরে আসছে তখনই লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তিশালী হচ্ছে লালঝান্ডা, এমনই মন্তব্য ব্রিগেড মুখী মানুষের।
ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম সিপিএমের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (DYFI)-এর ব্যানারে ব্রিগেড ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তারা। রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশের (DYFI Brigade Rally) একদিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যুবদের বলেছেন, ব্রিগেড বড় হবে। আর তারপরই ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, রেকর্ড গড়বে ব্রিগেডের এই জমায়েত।
আরও পড়ুন: লোনে গড়িমসি, ব্যাঙ্কের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নবান্ন!
যদিও সিপিএমের যুব সংগঠনের এই ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এবং বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে উঠেছে নতুন স্লোগান- ‘যৌবনের ডাকে জনতার ব্রিগেড’। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে। তারপর শূন্য পেয়েছে। ব্রিগেড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন বামেদের। তাঁর মন্তব্য, ‘”সিপিএমের ক্ষমতা থাকলে ৪২ টা আসনে একা লড়ুক”।
বামপন্থীদের কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিধানসভার আগেও ব্রিগেড করেছিলেন বামপন্থীরা। ভরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারেনি। ব্রিগেড করা আসলে বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য। গতবারে আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, জানি না এবারে তাদের ডেকেছেন কি না।”
নির্বাচনী লড়াইয়ের মঞ্চে একদিকে যখন ব্রিগেডমুখী জনতার মুখে ছাত্র-যুব-যৌবনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর সুর তখন তৃণমূল-বিজেপির পক্ষ থেকে আবারও উঠে এল সমালোচনার নানান কথন। তবে এটা নতুন নয়। যাদবপুর থেকে জামিয়া, জেএনইউ থেকে এইচসিইউ, সর্বত্র বাম সংগঠনগুলির গায়ে রাষ্ট্রদ্রোহী তকমা সেঁটে দিতে দেখা গেছে বারবার। বামেরা যদিও এইসবে আমল দিতেই ইচ্ছুক নয়। তাদের ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে নতুন সূর্য দেখার আশা রাখছে তারা। তাদের ভরসা এখন ছাত্র-যুব-যৌবনে।
দেখুন