আমরোহা: রবিবার ভারত (India) চ্যাম্পিয়ন হোক বা না হোক, ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের অন্যতম দাবিদার মহম্মদ শামি (Mohhamed Shami)। কী বোলিংটাই না করছেন তিনি। প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ পাননি, হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ায় দলে আসেন তিনি। সুযোগ পেয়েই প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট, তারপরের ম্যাচে চারটে এবং তার পরেরটায় আবার পাঁচটা উইকেট নেন শামি। সেমিফাইনালে সাত উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে (CWC) সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন। দেশজুড়ে ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে তাঁর নামে। সোশ্যাম মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং তিনি। ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
শামির গ্রামে ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানাতে চলেছে যোগীর সরকার। ইতিমধ্যেই ওই গ্রামের জমি-জায়গা দেখতে গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। শামির গ্রামে হলেও শামির নামে এই স্টেডিয়াম হতে চলেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: শামিকে নিয়ে চিন্তিত অস্ট্রেলিয়া: প্যাট কামিন্স
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার সাহাসপুর গ্রামে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ভারতীয় পেসারের। তাঁর বাবা তৌসিফ আলি পেশায় কৃষক ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনিও ফাস্ট বোলার ছিলেন কিন্তু দারিদ্রের চাপে ক্রিকেট ছাড়তে হয় তাঁকে।
নিজের মতো দুর্ভাগ্য যেন ছেলের না হয় তা নিশ্চিত করেছেন তৌসিফ। শামির ১৫ বছর বয়স হতেই ২২ কিমি দূরের শহর মোরাদাবাদে কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকির কাছে নিয়ে যান। তবে ভারতীয় পেসারের ভাগ্য ফেরে বাংলায় এসে। টাউন ক্লাবে খেলতেন তিনি। সেখান থেকে মোহনবাগান এবং তারপর বাংলার রঞ্জি দলে ঢুকে পড়েন। এর কিছু জাতীয় নির্বাচকদের নজরে পড়েন। তারপরের কাহিনি সবার জানা।
আরও খবর দেখুন