কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার হল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ। যদিও ইতিমধ্যে এই প্রবল বন্যা জেরে ১৩৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পশুপ্রাণী মারা গিয়েছে। প্রবল বন্যায় ৫৩ জন আহত। ৯৯ জনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ৪০ জন এখনও আটকে রয়েছেন। যাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পাকিস্তানের ড্রোন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ ভারতের
মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেই উদ্বেগের কথায় প্রকাশ করলেন তিনি। বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র বাসির জন্য প্রার্থনা করলেন। সেইসঙ্গে এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্যও শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Deeply pained by the tragic incident in Raigad, Maharashtra.
The situation in Maharashtra owing to heavy rainfall is alarming. Praying for everyone’s safety and security in such difficult times.
My heartfelt condolences to the families of the deceased.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 24, 2021
বিগত কয়েকদিনে রত্নাগিরি, রায়গর, পুনে, সাতারা, কোলাপুরের মতো মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছে বন্যার জলে। সেই সঙ্গে প্রবল বর্ষণে এখনও পর্যন্ত লাল ও অরেঞ্জ সর্তকতা জারি করে রাখা হয়েছে সেই সমস্ত জেলাজুড়ে। এমনকি আগামী দুই থেকে তিন দিন আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: হনুমান চালিশা শুনতে শুনতে জটিল অস্ত্রোপচার করলেন এইমসের চিকিৎসকরা
অন্যদিকে পরিস্থিতি বিপদজনক হওয়াতে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে সেনাকে। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা গুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা সাউদার্ন কমান্ড। সেনার পাশাপাশি বন্যা প্রভাবিত এলাকাগুলিতে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। হেলিকপ্টারে করে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বায়ুসেনার জওয়ানেরা।
মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি খরচে চিকিৎসা হবে আহতদের। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দফতর থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
