চন্ডীগড়: অবশেষে নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে দেখা হল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের৷ শুক্রবার সকালে পঞ্জাব ভবনের চা চক্রে দু’জনের আলোচনা হয়৷ তবে বেশি কথা হয়নি৷ আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে দুই নেতার সাক্ষাতেরই স্বস্তি ফিরেছে কংগ্রেস শিবিরে৷
শুক্রবার থেকে পঞ্জাব কংগ্রেসে নতুন ইনিংস শুরু হল সিধুর৷ ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এখন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ নতুন দায়িত্ব পেয়েই সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার অঙ্গীকার নেন সিধু৷ বলেন, ‘আমার কোনও ইগো নেই৷ কংগ্রেস আজ সংঘবদ্ধ..৷ সব বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে৷ পরিবতর্নের রাজনীতির সূচনা হোক৷’ সিধু যখন কথাগুলি বলছিলেন, তখন মঞ্চেই ছিলেন অমরিন্দর৷ সিধুর সংযোজন, ‘যাঁরা আমার বিরোধিতা করেছিল তাঁদের জন্যই উন্নতি করতে পেরেছি আমি৷’
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু
সিধুর মতো অমরিন্দরও এদিনের অনুষ্ঠানে দলের সংঘবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার চেষ্টা করেন৷ বলেন, ‘১৯৬৩ সালে সিধু যখন জন্মেছিলেন আমি তখন সেনাবাহিনীতে ছিলাম৷ ১৯৭০ সালে আমি সেনাবাহিনী ছেড়ে দিই৷ তখন মা আমায় রাজনীতিতে যোগ দিতে বলেছিল৷ মা বলেছিল, সিধুর বাবা ভগবান সিং সিধুর সঙ্গে দেখা করতে৷ সিধুর সঙ্গে সেই ধরনের সম্পর্ক আমার৷’
অথচ দু’দিন আগে পর্যন্ত সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল অমরিন্দরের৷ দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন৷ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সিধুর বিরোধ বেশ পুরোনো৷ ২০১৯ সালে পঞ্জাব মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সিধু প্রকাশ্যে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন৷ এ নিয়ে দুই নেতার রাজনৈতিক ঠোকাঠুকি আরও বেড়ে যায়৷ ঘনিষ্ঠ মহলকে অমরিন্দর জানিয়েছিলেন, সিধু প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না৷
আরও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, মৃত কমপক্ষে ৩৬, উদ্ধারে হেলিকপ্টার
সিধু ক্ষমা চাননি। তবে চিঠি লিখে অমরিন্দরকে ‘পঞ্জাবে কংগ্রেস পরিবারের প্রবীণতম নেতা’ বলে সম্বোধন করেন৷ পাশাপাশি নতুন প্রদেশ কংগ্রেস পদাধিকারীদের আশীর্বাদ করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ মনে করা হয়, ওই চিঠির পরই সিধুর প্রতি রাগ কিছুটা কমে মুখ্যমন্ত্রীর৷ তার পরই আজ শপথে আসার সিদ্ধান্ত নেন৷