কাতার: আর ঘণ্টাকয়েকের অপেক্ষা। তার পরেই শুরু হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup)। এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) কোনও দেশে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। এ নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সেই দেশ এবং সংগঠক ফিফা (FIFA)। কিন্তু বিষয়টা মোটেই পছন্দ হয়নি জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার (Al Qaeda)। আল কায়েদার আঞ্চলিক শাখা পৃথিবীর সমস্ত ইসলাম ধর্মাবলম্বী (Muslims) মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, বয়কট করা হোক কাতার বিশ্বকাপ।
আল কায়েদার ইয়েমেন স্থিত (Yemen) শাখা কাতার দেশটির কড়া সমালোচনা করেছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে আরব অঞ্চলে নীতিহীন মানুষ, সমকামী, দুর্নীতির বীজ বপনকারী এবং নাস্তিকতার আমদানি করেছে। মুসলিম দেশগুলোর প্রতি অত্যাচার থেকে দৃষ্টি সরাতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন: Ind vs NZ: সূর্যের সেঞ্চুরিতে হার্দিকদের জয়ে শুরু নতুন টিম ইন্ডিয়ার
জঙ্গি সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মুসলিম ভাইদের এই ইভেন্ট অনুসরণ করতে কিংবা যোগ দিতে সতর্ক করছি। সমকামীদের (Homo Sexual) অধিকার সহ মানবাধিকার ইস্যুতে (human Rights) সাম্প্রতিক কালে বারবার বিদ্ধ হয়েছে কাতার। সে দেশে সমকাম নিষিদ্ধ। এদিকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপে সবাই স্বাগত, তার যৌন অভিযোজন (Sexual Orientation) যা-ই হোক না কেন।
মাত্র ৩০ লক্ষ মানুষের ছোট্ট দেশ কাতার। স্টেডিয়াম গড়তে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (South-East Asia), দক্ষিণ এশিয়া (South Asia) এবং আফ্রিকা (Africa) থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে (Migrant Labour) কাজে লাগানো হয়েছিল। তাদের প্রতি অত্যাচার, অনাচার নিয়েও তুমুল শোরগোল পড়েছিল বিভিন্ন মহলে। ভারতেরই কয়েকশো শ্রমিকের কাতারে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর।
এদিকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন নিরাপত্তা রক্ষায় ৫০ হাজার জনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহু মানুষ, বহু বাহিনী বিদেশ থেকে আসা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতারের কম্যান্ডান্টরা।