কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মেয়েটার কতই বা বয়স হবে? বারো কী তেরো। পড়ে নবম শ্রেণিতে। কিন্তু এই বয়সেও সে ক্রেতা সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন। স্কুলের পাঠ্যবই কিনতে গিয়েছিল সে। বইয়ের যা দাম, তার থেকে ৮৫ টাকা বেশি নিয়েছেন দোকানের মালিক। ওই মেয়েটির মনে হয়েছে, এতে তার ক্রেতা সুরক্ষা লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই সে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়। সটান হাজির হরদোই থানায়।
কী হল থানায়? কাঁদতে কাঁদতে সে থানার মহিলা অফিসারকে বলে, বইকাকু আমার থেকে ৮৫ টাকা বেশি নিয়েছেন। কেন বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে? আমরা তো স্কুলের বইয়ে ক্রেতা সুরক্ষার কথা পড়েছি। বইকাকু আমাকে ঠকিয়েছেন। আমি ওই বাড়তি টাকা ফেরত চাই। আমারও তো সেই টাকা ফেরত পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
থানার অফিসার ভাবেন, মেয়েটি তো ঠিক কথাই বলেছে। ওরও তো সেই বাড়তি টাকা ফেরত পাওয়ার অধিকার আছে। থানা থেকে মহিলা অফিসার মেয়েটিকে নিয়েই বইয়ের দোকানে চলে যান। মেয়েটি সেখানে গিয়ে মালিককে বলে, কাকু, তুমি আমার থেকে বেশি টাকা নিয়েছ। এ কথা, সে কথার পর দোকানের মালিক তাকে বাড়তি টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।
উত্তরপ্রদেশের হরদোই থানার এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। যে উত্তরপ্রদেশে নাবালিকাকে অহরহ খুন, ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়, যে রাজ্যে নারীর মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হয়, সেই উত্তরপ্রদেশে এই নাবালিকার জেদ দেখিয়ে দিল, ছোট হলেও তার ক্ষমতা কিছু কম নয়। স্থানীয় থানাও উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছে। নেটিজেনরা থানার ভূমিকারও প্রশংসা করছেন।