কলকাতা: কালনা (Kalna) নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল বৈঠকেও বিদ্রোহী তৃণমূল (TMC) নেতা তপন পোড়েলের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না দলীয় নেতৃত্ব। হাইকমান্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচনে তপন পোড়েলকে দলনেতা নির্বাচন করে একাংশ। তাই নিয়ে দিনভর নাটক চলার পর তপনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এদিনের মীমাংসা বৈঠকে তপনকে দলে রাখা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি দল।
একই ভাবে চাকদহ এবং হরিণঘাটা পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জেলাশাসক ওই দুটি পুরসভার চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। দলের মনোনীত প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেবেন বলে দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাউন্সিলরা। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সমাধানসূত্র বেরিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার কালনা পুরসভার (Kalna Municipality Corporation) ১৭ জন কাউন্সিলরকে (TMC Councilor) নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) এবং বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবারের এই বৈঠকে বিক্ষুব্ধ তপন পোড়েলকে নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র না মিললেও, এদিন বৈঠকে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন দলীয় কাউন্সিলররা। ক্ষমা চান শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।
এমনকী সকলেই দলের নির্দেশ মানবেন বলে মুচলেকাও দিয়েছেন। তাঁরা জানান, দলের মনোনীত প্রার্থী আনন্দ দত্তকেই চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেবেন সকলে। বৈঠকের পর অরূপ বিশ্বাস জানান, দলের নির্দেশ মানতে হবে। না মানলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যদিও এদিন বহিষ্কার হওয়া কাউন্সিলর তপন পোড়েলকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দল।
আরও পড়ুন- Jhalda Councillor Murder: সিবিআই তদন্তই চাই, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিসকে জানালেন তপন কান্দুর ভাইপো
গত ১৬ মার্চ চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা হয় কালনা পুরসভায় (Kalna Municipality)। রাজ্য নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া চেয়ারম্যানকে মেনে নিতে পারেননি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলররা। তা নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। জেলাশাসকের নির্দেশে বোর্ড গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওইদিন ঘটনার পরই বহিষ্কার করা হয় তপন পোড়েলকে।