মুম্বই থেকে অনেকটা দূরে লোনাভলার এক প্রান্তে নিরিবিলি পরিবেশে বিরাট এক ফার্ম হাউসে দিন কাটাচ্ছেন সত্তরের দশকের বলিউডের ‘হি ম্যান’ ধর্মেন্দ্র। বয়স এখন তাঁর ৮৭। মাঝেমধ্যেই সেখানে তোর করেন ধরমজি। সেখানকার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন তিনি। ফার্মহাউসের ভিতরে ক্ষেত-খামারের নানান ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মাঝেমধ্যে পোস্ট করে থাকেন। এবারের এবারের হোলি স্পেশাল ভিডিওতে দেখা গেল, ১৯৬০ সালে কেনা নিজের অত্যন্ত প্রিয় ফিয়াট গাড়িতে চেপে এবড়ো খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে তিনি হাজির হয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক পুরনো বন্ধু। ছবির ক্যাপশনে ধর্মেন্দ্র লিখেছেন, ‘আমার প্রথম কেনা ফিয়াট। ১৯৬০ এই মিষ্টি গাড়িখানা আমি কিনেছিলাম। পাহাড়ি বন্ধুর রাস্তায় দিব্যি চালিয়ে চলে এলাম। সবাইকে আমার হোলির শুভেচ্ছা। ভালোবাসা জানাই সবাইকে’।জীবনের প্রথম এই গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা দিয়ে। গাড়িটি দেখলে মনে হয় না এত পুরনো এমনই যত্নে রেখেছেন গাড়িটিকে অভিনেতা। বেশ পাকা হাতেই স্টিয়ারিং সামলালেন বলি নায়ক।
গাড়ির গতিও নেহাত কম ছিল না। মাঝে মাঝে বেপরোয়া চালাচ্ছিলেন তিনি। নিশ্চয়ই অল্প বয়সের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল তখন। এই ভিডিও দেখে ধর্মেন্দ্র প্রেমীরা আপ্লুত-মুগ্ধ। সে কথা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, ধর্মেন্দ্রর শখের এই গাড়িটি যে বছর তিনি কিনেছিলেন সে বছরই বলিউডে পা রেখেছিলেন। কাজেই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাঁর এই গাড়ির সঙ্গে। বলিউডে পা রাখার এক দশকের মধ্যেই তিনি সুপারস্টার এ পরিণত হয়েছিলেন।ফার্ম হাউসে ধর্মেন্দ্র মাঝেমধ্যেই চলে আসেন। সেখানে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ, পশুপালন ও আরো বিভিন্ন রকমের কিছু করে থাকেন। সেসব দেখাশোনা করার কিংবা পরিচর্যা করার লোকজন থাকলেও তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নেমে পড়েন বালি তারকা। এভাবেই নিজের অবসর সময় কাটান বলিউডের লেজেন্ড। তিনি নিজেই বলেন সমস্ত ক্লান্তি মুছে মন ভালো হয়ে যায় এই ফার্ম হাউসে আসলে। সবজির বাগান তার অত্যন্ত প্রিয়। ফার্মহাউস আছে পালিত গরু। এরকম নানান ছোট ছোট দৃশ্যের ভিডিও মাঝে মধ্যেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন।