জলপাইগুড়ি: আর কয়েকদিন পরেই পুরভোট। তার আগে গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে তৎপর শাসকদল। সেই কারণে জলপাইগুড়ি গিয়ে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন পুরভোটের দায়িত্বে থাকা দলের অবজারভার অরূপ বিশ্বাস। এদিন বিক্ষুব্ধদের সমস্যা শোনার পাশাপাশি জলপাইগুড়ির যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাওয়ান তিনি।
পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জেলায় জেলায় ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটের টিকিট না পেয়ে তৃণমূল নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দলের হয়ে ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করতে গেলে তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। যে বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এই ঘটনায় দলের একটা অংশে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল।
এরপরেই তৃণমূলের শীর্ষকর্তারা দলীয় কর্মীদের কোন্দল মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতোই মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি পৌঁছন অরূপ বিশ্বাস। দফায় দফায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বুধবারেও চলে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়। একইসঙ্গে দলের যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। এর পরেই অরূপ বিশ্বাস নেতাদের বার্তা দেন, সব কিছু ভুলে আগামী পুরভোটে লড়ার।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছে কর্মীরা, ব্যবহার হবে ভোটে, হুমকি দিলীপের