Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু হবে? পিছনের কারণটা কী?     
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  পবিত্র ত্রিবেদী
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:৪৫:৪৭ পিএম
  • / ৪৬ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • পবিত্র ত্রিবেদী

আমাদের সংবিধানের দিকে একবার চেয়ে দেখুন, যে সংবিধানকে মেনেই আমাদের দেশ চালানোর কথা। যে সংবিধান আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি, আমাদের অধিকারের রক্ষাকবচ। সেই সংবিধানের ১৪ নম্বর আর্টিকল-এ পরিষ্কার বলা হচ্ছে, “THE STATE SHALL NOT  DENY TO ANY PERSON EQUALITY BEFORE THE LAW OR THE EQUAL PROTECTION OF THE LAWS WITHIN THE TERITORY OF INDIA.”

মানে খুব পরিষ্কার, আইনের চোখে সবাই সমান, আইন সব্বাইকে একভাবেই বিচার করবে।

আমাদের সংবিধানের আর্টিকল ১৫তে কী বলা আছে একবার দেখে নেওয়া যাক।

THE STATE SHALL NOT DISCRIMINATE AGAINST ANY CITIZEN ON GROUNDS ONLY OF RACE, RELIGION, CAST, SEX AND PLACE OF BIRTH.”

বলা হচ্ছে যে রাষ্ট্র জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করতে পারবে না।

কিন্তু দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহামান্য অমিত শাহ অমিত শাহ কী বলছেন? নিপীড়িত হিন্দু, শিখ, পারসিদের অন্য দেশ থেকে এ দেশে এলে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যেটা বলছেন সেটাও জঘন্য মিথ্যে তা নিয়ে আলোচনা পরে করব কিন্তু যে সিএএ বিল পাশ হয়েছে তাতে সাফ বলা হচ্ছে, কেবলমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে আমাদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যা সংবিধান বিরোধী। এটা কি উনি জানেন না? প্রধানমন্ত্রী জানেন না? বিজেপির দিগগজ নেতারা জানেন না? সব্বাই সব জানেন। কিন্তু এই বিল পাশ করিয়ে দেশের হিন্দু নাগরিকদের কাছে ইঙ্গিত দেওয়া হবে যে এই সরকার হিন্দুদের সরকার। এই রাষ্ট্রকে এক হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর আরএসএস-এর যে এজেন্ডা, সেটাকেই তুলে ধরে হচ্ছে। আচ্ছা তাহলে অসমে এনআরসি করার দরকার কী ছিল? ১৯ লক্ষর মধ্যে ১৪ লক্ষ হিন্দু, এরপর তাঁরা আবেদন করবেন এবং নাগরিকত্ব পাবেন। পড়ে রইল ৫ লক্ষ মুসলমান। তা ৫ লক্ষ মুসলমান খুঁজতে ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হল?

CITIZEN AMMENDMENT BILL পাশ হয়েছে, নাগরিক কে হবেন বিজেপির সেই নিয়ে চিন্তা, মোদি অমিত শাহর সেই নিয়ে মাথাব্যথা। এদিকে সেই নাগরিক কৃষকের কী হবে, যিনি পেঁয়াজের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বা করবেন? সেই আদিবাসী নাগরিকের কী হবে, যার জমিন জঙ্গল কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যে এখন ভুখা নাঙ্গা? তাদের কী হবে? নয়ডার গাড়ি কারখানার শ্রমিকদের কী হবে? যারা হরতাল করছেন? বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সেই চাকুরে যার চাকরি চলে গেল? পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই, মাথার উপর ছাদ নেই সেই লক্ষ লক্ষ নিরন্ন হাঘরে কৃষক শ্রমিকদের কী হবে? এই বিল তাদের পেটে ভাত দেবে? পরনে কাপড়? মাথার উপরে ছাদ?

সমস্যা পেটের, খাদ্যের, বস্ত্রের, বাসস্থানের আর সেটাকে মোদিজি অমিত শাহ নিয়ে চলে যাচ্ছেন রামমন্দিরে, হিন্দু আর মুসলমানে। ধর্মকে ধারণ করা এক ব্যক্তিগত ধারণা, তাকে দেশ অর্থনীতি রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে যে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। অথচ দেখুন ঘণ্টাখানেক ধরে নেশন ওয়ান্টস টু নো বলে এই আগুনকেই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সময়েই নজরুলের কথা মনে পড়ছে। তাঁর মন্দির ও মসজিদ লেখা থেকে একটু পড়ে শোনাই? আপনারাও ভালো লাগলে কাজি নজরুলের এই কথাগুলো অন্যদের শোনান। নজরুল লিখছেন, ‘মারো শালা যবনদের!’ ‘মারো শালা কাফেরদের!’ আবার হিন্দু মুসলমানি কাণ্ড বাঁধিয়া গিয়াছে। প্রথমে কথা-কাটাকাটি, তারপর মাথা-ফাটাফাটি আরম্ভ হইয়া গেল। আল্লার এবং মা কালীর ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য যাহারা এতক্ষণ মাতাল হইয়া চিৎকার করিতেছিল তাহারাই যখন মার খাইয়া পড়িয়া যাইতে লাগিল, দেখিলাম – তখন আর তাহারা আল্লা মিয়া বা কালী ঠাকুরানির নাম লইতেছে না। হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি পড়িয়া থাকিয়া এক ভাষায় আর্তনাদ করিতেছে, – ‘বাবা গো, মা গো!’ – মাতৃপরিত্যক্ত দুটি বিভিন্ন ধর্মের শিশু যেমন করিয়া এক স্বরে কাঁদিয়া তাহাদের মাকে ডাকে! দেখিলাম, হত-আহতদের ক্রন্দনে মসজিদ টলিল না, মন্দিরের পাষাণ দেবতা সাড়া দিল না। শুধু নির্বোধ মানুষের রক্তে তাহাদের বেদি চিরকলঙ্কিত হইয়া রহিল। মন্দির-মসজিদের ললাটে লেখা এই রক্তকলঙ্ক-রেখাকে মুছিয়া ফেলিবে, বীর? ভবিষ্যৎ তাহার জন্য প্রস্তুত হইতেছে!

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আমার দেশ, মর্যাদা পুরুষোত্তম রাম এবং খাদ্য পানীয়ের রাজনীতি

সেই রুদ্র আসিতেছেন, যিনি ধর্ম-মাতালদের আড্ডা ওই মন্দির-মসজিদ-গির্জা ভাঙিয়া সকল মানুষকে এক আকাশের গম্বুজ-তলে লইয়া আসিবেন। জানি, স্রষ্টার আপনি-মোড়ল ‘প্রাইভেট সেক্রেটারি’রা হ্যাট খুলিয়া, টুপি তুলিয়া, টিকি নাচাইয়া আমায় তাড়না করিবে, তবু ইহাদের পতন হইবে। ইহারা ধর্ম-মাতাল। ইহারা সত্যের আলো পান করে নাই, শাস্ত্রের অ্যালকোহল পান করিয়াছে।

পুসিফুট জনসন মাতালদের বিরুদ্ধে অভিযান করিয়া বহু মার খাইয়াছেন। মুহম্মদকে যাহারা মারিয়াছিল, ইশা-মুসাকে যে-সব ধর্ম-মাতাল প্রহার করিয়াছিল, তাহাদেরই বংশধর আবার মারিতেছে মানুষকে–ইশা-মুসা মুহম্মদের মতো মানুষকে! যে-সব অবতার-পয়গম্বর মানুষের মার হইতে মানুষকে বাঁচাইতে আসিয়া মানুষের মার খাইয়া গেলেন, তাঁহারা আজ কোথায়? মানুষের কল্যাণের জন্য আসিয়াছিলেন যাঁহারা, তাঁহাদেরই মাতাল পশু শিষ্যেরা আজ মানুষের সর্ব অকল্যাণের হেতু হইয়া উঠিল। যিনি সকল মানুষের দেবতা, তিনি আজ মন্দিরের কারাগারে, মসজিদের জিন্দানখানায় গির্জার gaol-এ বন্দি। মোল্লা-পুরুত, পাদরি-ভিক্ষু জেল-ওয়ার্ডের মতো তাহাকে পাহারা দিতেছে। আজ শয়তান বসিয়াছে স্রষ্টার সিংহাসনে।

একস্থানে দেখিলাম, ঊনপঞ্চাশ জন ভদ্র-অভদ্র হিন্দু মিলিয়া একজন শীর্ণকায় মুসলমান মজুরকে নির্মমভাবে প্রহার করিতেছে, আর একস্থানে দেখিলাম, প্রায় ওই সংখ্যাক মুসলমান মিলিয়া একজন দুর্বল হিন্দুকে পশুর মতো মারিতেছে। দুই পশুর হাতে মার খাইতেছে দুর্বল অসহায় মানুষ। ইহারা মানুষকে মারিতেছে যেমন করিয়া বুনো জংলি বর্বরেরা শূকরকে খোঁচাইয়া মারে। উহাদের মুখের দিকে তাকাইয়া দেখিলাম, উহাদের প্রত্যেকের মুখ শয়তানের চেয়েও বীভৎস, শূকরের চেয়েও কুৎসিত! হিংসায়, কদর্যতায় উহাদের গাত্রে অনন্ত নরকের দুর্গন্ধ! উহাদের দুই দলেরই নেতা একজন, তাহার আসল নাম শয়তান। সে নাম ভাঁড়াইয়া কখনও টুপি পরিয়া পর-দাড়ি লাগাইয়া মুসলমানদের খ্যাপাইয়া আসিতেছে, কখনও পর-টিকি বাঁধিয়া হিন্দুদের লেলাইয়া দিতেছে, সে-ই আবার গোরা সিপাই গুর্খা সিপাই হইয়া হিন্দু-মুসলমানদের গুলি মারিতেছে! উহার ল্যাজ সমুদ্রপারে গিয়া ঠেকিয়াছে, উহার মুখ সমুদ্রপারের বুনো বাঁদরের মতো লাল!

দেখিলাম, আল্লার মসজিদ আল্লা আসিয়া রক্ষা করিলেন না, মা-কালীর মন্দির কালী আসিয়া আগলাইলেন না! মন্দিরের চূড়া ভাঙিল, মসজিদের গম্বুজ টুটিল! আল্লার এবং কালীর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আকাশ হইতে বজ্রাঘাত হইল না মুসলমানদের শিরে, ‘আবাবিলের’ প্রস্তর-বৃষ্টি হইল না হিন্দুদের মাথার উপর।

এই গোলমালের মধ্যে কতকগুলি হিন্দু ছেলে আসিয়া গোঁফ-দাড়ি-কামানো দাঙ্গায় হত খায়রু মিয়াঁকে হিন্দু মনে করিয়া ‘বলো হরি হরিবোল’ বলিয়া শ্মশানে পুড়াইতে লইয়া গেল, এবং কতকগুলি মুসলমান ছেলে গুলি খাইয়া হত দাড়িওয়ালা সদানন্দ বাবুকে মুসলমান ভাবিয়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়িতে পড়িতে কবর দিতে লইয়া গেল। মন্দির এবং মসজিদ চিড় খাইয়া উঠিল, মনে হইল যেন উহারা পরস্পরের দিকে চাহিয়া হাসিতেছে!”

হ্যাঁ মন্দির মসজিদ আজ সত্যিই আমার দেশের মানুষদের দেখে হাসছে। হাসছে কারণ, যে মন্দির, যে মসজিদ থেকে শান্তির বাণী প্রচার করারা কথা সেখান থেকেই আগুন ছড়ানোর, লাগানোর, মৃত্যু আর ধ্বংসের কথা বলা হচ্ছে। সিএএ নিয়ে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওরা মিথ্যে বলছে, মিথ্যের পর মিথ্যে বলছে।

১) সরকার বলছে CAA IS NOT DISCRIMINATORY, মানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও ভেদাভেদ করছে না। আসুন আগে দেখে নিই আমাদের দেশের নাগরিকত্ব কীভাবে স্থির করা হয়।

ক) জন্ম যদি ভারতে হয়, তাহলে সে ভারতের নাগরিক হবে। সে কোন ধর্মের এটা বিবেচনা করা হবে না।

খ) যদি তার মা-বাবা এই দেশে জন্মে থাকে তাহলে সে আমাদের দেশের নাগরিক হবে, ধর্ম বিবেচনা করা হবে না।

গ) যদি ১১ বছর আমাদের দেশে বসবাস করে, তাহলে সে আমাদের দেশের নাগরিক হবে, ধর্ম এখানে বিবেচনা করা হবে না।

ঘ) পঞ্জিকরণ বা রেজিস্ট্রেশন, মানে কেউ আবেদন করলেন যে আমি আপনাদের দেশের নাগরিক হতে চাই, সেই আবেদন মঞ্জুর হলে, সে আমাদের দেশের নাগরিক হতে পারবে, এখানেও সে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য নয়।

ঙ) ভূখণ্ডের সংযোজন, মানে যদি নতুন কোনও ভূমি আমাদের দেশের মধ্যে জুড়ে যায়, যেমন ধরুন, গোয়া আমাদের দেশের অন্তর্গত হল ৬১ সালে, গোয়ার যত মানুষ তারা নিজের থেকেই আমাদের দেশের নাগরিক হয়ে গেল, সে যে কোনও ধর্মের মানুষ হোক না কেন, সে আমার দেশের নাগরিক। বা সিকিম ১৯৭৫-এ ভারতের অংশ হল, যারা সিকিমের নাগরিক, ধর্ম নির্বিশেষে তারা আমাদের দেশের নাগরিক হল।

এই কথা আমাদের সংবিধানে আরও বিস্তৃত লেখা আছে, অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদি পড়েননি। এই কথা আমাদের নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫তে লেখা আছে সেটাও ওনারা পড়েননি বা পড়ার পরেও মিথ্যে বলছেন। আমাদের সংবিধানে নাগরিকত্ব কখনও ধর্মের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি। এই আইন ভেদাভেদের আইন। মিথ্যে বলছেন নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ।

২) CAA HAS NOTHING TO DO WITH NRC, সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। আবার মিথ্যে, জলজ্যান্ত মিথ্যে। এপ্রিল ২০১৯ এ অমিত শাহ নিজে বলেছেন যে প্রথমে সিএএ, তারপর এনআরসি আসবে। ৯ ডিসেম্বর অমিত শাহ লোকসভাতে জানিয়েছিলেন সারা দেশে এনআরসি আসবে সিএএ লাগু করানোর পরে। মানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন, বলেই যাচ্ছেন।

৩) রামলীলা ময়দানের লীলা, মোদিজি বললেন তাঁরা যতদিন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময়ের মধ্যে এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এদিকে জুন ২০১৯ এ সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে বলা হল, “GOVERNMENT HAS DECIDED TO IMPLEMENT NRC ON A PRIORITY BASIS IN AREAS AFFECTED BY INFILTRAITOR.” রাষ্ট্রপতির ভাষণ যা সরকার লিখে দেন, সেটাই রাষ্ট্রপতি বলেন, সবাই জানে, সেদিনও অন্যথা হয়নি। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষের সামনে, তাঁর দলের সমর্থকদের মিথ্যে বলছেন। ২১ নভেম্বর ২০১৯ এ অমিত শাহ রাজ্যসভাতেও এই একই কথা বলেছেন, মিথ্যে বলেছেন।

৪) NRC PROCESS IS NOT LEGALISED, NRC HAS NOT BEEN NOTIFIED.  এনআরসি আইনত মান্য নয়, এটা কেবল কথা, কেবল আলোচনা। ২০০৩ এ অটল জমানায় এই আইন আসে এবং তা ১৯৫৫ নাগরিকত্ব আইনের ১৪এ ধারায় বলা আছে যে একটা রেজিস্টার তৈরি হবে, এবং তার ভিত্তিতে একটা পরিচয়পত্র জারি করা হবে। ২০০৩ এই এটা বলা হয়ে গেছে। সরকার মিথ্যে বলছে।

৫) NRC YET TO START,  এনআরসি এখনও লাগু হয়নি। আবার মিথ্যে ৪ নম্বর ধারা নাগরিকত্ব আইনের, তাতে বলা হচ্ছে। PART OF CLAUSE 4 RULES OF 2003.  এই ধরনের তালিকা তৈরি হবে, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতি মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জুলাই ২৩ এ সংসদে বলেছিলেন, NRC BASED COLLECTION OF DATA UNDER THE SCHEME OF NPR, HOUSE TO HOUSE ENUMARATION, TO START FROM APRIL 1, 2020 TO END ON 30 SEPT 2020, NOTIFIED THROUGH A GEDGET NOTIFICATION ON THE JULY 31 2019. সরকার আবার মিথ্যে বলছে।

৬)  NPR HAS NOTHING TO DO WITH NRC এনপিআর এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। আবার মিথ্যে। স্বরাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-২০১৯ এ বলা হয়েছে, NPR IS THE FIRST STEP TOWARDS CREATION OF NRC. অমিত শাহের দফতর একথা বলছে।

৭) NO INDIAN HAS ANYTHING TO FEAR, ভারতবর্ষের কোনও মানুষকে ভয় পেতে হবে না। আবার মিথ্যে। ফকিরুদ্দিন আলি আহমেদ আমাদের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাঁর বাড়ির লোকজনদের এই এনআ সি তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিল। মহ সনাউল্লাহ, কার্গিলের লড়াই লড়েছেন, বীরত্বের জন্য পদক পেয়েছেন, তাঁর নাম ছিল না এই তালিকায়। যদি এইরকম মানুষের নাম না থাকে তাহলে মিডিয়া আসবে, তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে অনেকে, এসেছেও, কিন্তু নেহাতই গরিব সাধারণ মানুষ? তার কী হবে? তারা কোন উকিলের কাছে যাবে? ৩ মাসের মধ্যে আপিল করতে হবে, কে করবে? ভয় লাগছে না আপনার, নিজের জন্য, পাড়া প্রতিবেশী, পরিচিত জনেদের জন্য? এখনও রুল তৈরি হল না, উত্তরপ্রদেশে কিছু লোকের লিস্ট তৈরি হয়ে গেল, প্রত্যেকে বাঙালি, ৫০/৬০/৭০ বছর ধরে আছেন, কাগজ নেই। ভয় করছে না?

৮) NO DETENTION CENTRE.  রামলীলা ময়দানে মোদি বলেছিলেন, শুনুন, কোথাও কোনও ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হয়নি।

মোদি রামলীলা ময়দানে। অথচ কেবল অসমেই তৈরি হয়েছে ৬টা। এই মোদি সরকারের টাকাতেও তৈরি হয়েছে। সব জেনেশুনে মিথ্যে বলছে নরেন্দ্র মোদি। বাজেট বরাদ্দে এ ধরণের ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য টাকা রাখা হয়েছে।

৯) সরকার বলছে এই সিএএ আইন মুসলমান বাদ দিয়ে বাকি সংখ্যালঘুদের ধার্মিক নিপীড়নের কারণে চলে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য আইন। আবার মিথ্যে, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য মিথ্যে। এবার খেয়াল করে দেখুন গেজেটে যে আইনটা ছাপা হয়েছে, তাতে কোথাও ধার্মিক নিপীড়ন শব্দটাই নেই। ভাবা যায়? না ভাবাই যায় না, দেশের প্রধানমন্ত্রী এরকম সপাটে মিথ্যে বলবেন সেটা এতদিন ভাবা যেত না, নরেন্দ্র মোদি সেটা করে দেখালেন।

আসুন আমরা আর একবার সংবিধানের শপথ নিই, গান্ধী, নেতাজি, জওহরলাল, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর, ক্ষুদিরামের নামে শপথ নিই আমাদের সংবিধানকে আমরা অক্ষুণ্ণ রাখব। ধর্ম জাত বর্ণ ভাষা বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতে দেব না।

চিৎকার করে আবার বলুন সব্বাই, রাজা তুই উলঙ্গ। এতদিন ধরে যারা দেশে থাকল ঘর বাঁধল বড় হল বেড়ে উঠল এই স্বদেশ থেকে তাদের তাড়িয়ে দিলে রাজার কিছু যাবে আসবে না, কিন্তু আমার আপনার খেলার সাথি, বন্ধু, সহ নাগরিকদের ওপর এই অত্যাচার নামিয়ে আনতে দেওয়া যায় না, আমরা তা হতে দিতে পারি না।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team