Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
গণতন্ত্র আর সংবিধান দুইই বিপন্ন   
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  শ্রেয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৪:৫০:৪৮ পিএম
  • / ৪৬ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • শ্রেয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

হ্যামলেট, অ্যাক্ট ওয়ান, সিন ফোর। মার্সিলাস বলছে, “সামথিং ইজ রটন ইন দ্য স্টেট অফ ডেনমার্ক।” সেই কথা মনে পড়ে গেল, কিছু একটা পুড়ছে, গন্ধ পাচ্ছেন? আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুড়ছে। একজন দুবাইয়ে বসে একটা এফিডেভিট করে পাঠালে, কেবল তার ভিত্তিতেই একজন নির্বাচিত সাংসদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। ৮০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি নতুন সংসদ ভবনের সুরক্ষা বেড়া ভেঙে পড়তে ২০০ দিনও লাগে না। কিন্তু সেই প্রশ্ন সংসদে তুললে সাংসদদের সদন থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়, আর মাত্র ক’দিন আয়ু এই সংসদের? সেখানেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না, এই জমানায় প্রশ্ন তোলা পাপ, অন্যায়। এবং প্রশ্ন উঠলে ৫৬ ইঞ্চির সিনা ৬ ইঞ্চির হয়ে যায়, কথা বলাই বন্ধ করে দেন। এ তো একবার নয়, বার বার দেখেছি। সেই নোটবন্দি থেকে কৃষিবিল থেকে মণিপুরের ধর্ষণে মৌন থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আসলে আমাদের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আক্রান্ত, সংবিধান বিপন্ন আর তাই নৈরাজ্য বাড়ছে। মানুষের সাধারণ প্রতিবাদের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে, সাধারণ প্রতিবাদ প্রতিরোধের উপরে পাঁচিল তুলে দেওয়া হলে মানুষ অসহায় বোধ করে, এবং তার নিস্ফল মাথা কুটে মরা অথবা এক নৈরাজ্যকে হাতিয়ার করা ছাড়া উপায় থাকে না। সেটাই আমাদের দেশের বাস্তব অবস্থা। এই আরএসএস–বিজেপি আজ বাগে পেয়েছে গণতন্ত্রকে, সংবিধানকে, তারা এর শেষ দেখেই ছাড়বে। সংসদের ঘটনার পরে বড় মাথা মুখ খোলেননি, কিন্তু ছোট কিছু মাথা একস্বরে দেশের অহিংসা, শান্তি, প্রেম, ভালোবাসা, দেশপ্রেমের কথা বলেছেন। কারা অহিংসার কথা বলবে? যাদের গুরুদেবরা জুগিয়েছিল অর্থ ইতালিয়ান বেরেত্তা ৯ এমএম পিস্তল কিনতে, যার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাবেন এক বৃদ্ধ, যাঁকে দেশ বলে জাতির জনক। সেই জঘন্য অপরাধীর মূর্তিতে যারা মালা দেয়, নাথুরাম গডসেকে যারা পুজো করে, তাদের কাছ থেকে অহিংসা শিখবে দেশের অন্নদাতারা, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ? হাঁটু পর্যন্ত খেটো ধুতি পরা এক অশক্ত বৃদ্ধের মৃত্যুতে যারা উল্লাস করল, তারা শেখাবে অহিংসার কথা? যিনি মরার আগে কেবল বলতে পেরেছিলেন হে রাম, যাঁর প্রতিটা সন্ধ্যায় অবশ্যপাঠ ছিল রামধুন, যাদের পরিকল্পনায় ৯ এমএম গুলি তার বুকে বেঁধে, ফিনকি দিয়ে বের হয় রক্ত, তারা রামভক্ত? তারা অহিংস? তারাই আজ গণতন্ত্রের কথা বলছে?

গণতন্ত্র? কে বিশ্বাস করে, আরএসএস? আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা নিজে লিখে গেছেন হিটলারের মতো সামরিক শাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা। যাদের আইকন হল হিটলার, মুসোলিনি, যাদের ফ্যাসিবাদের শেকড় ইতালির থেকে নেওয়া, যারা পার্মানেন্ট সলিউশন টু দ্য জিউইস কোয়েশ্চেন-এর বদলে পার্মানেন্ট সলিউশন অফ দ্য মুসলিম কোয়েশ্চেন নিয়ে মত্ত তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? ফ্যাসিস্ট দানব বলবে সবার সমান অধিকারের কথা? যারা গরু ছাগল ভেড়ার মতো সাংসদ বিধায়ক কিনে বেচে সরকার তৈরি করে, বিরোধীদের সরকার ভেঙে দেয়, তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? কোন মুখে? সূর্য ওঠার আগে রাজভবনে দল ভাঙিয়ে শপথ নেওয়ার পরের দিন যাদের মুখ পুড়েছে, তারা বলছে গণতন্ত্রের কথা? অতিমারীর মধ্যে বিরোধী দলের সরকার ভাঙার জন্য যারা এমএলএ কিনে রেখে দেয় রিসর্টে, নির্বাচিত সরকার ফেলে দেয়, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে? যারা দেশের কোটি কোটি মানুষকে আড়ালে রেখে একের পর এক দেশের সম্পদ বেচে দিচ্ছে, তারা গণতান্ত্রিক? কোনও রকম আলোচনার সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে তিনটে কৃষি বিল পাশ করিয়ে যারা কৃষিক্ষেত্রকে দালাল কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দিতে চায় তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে আর আমরা শুনব? কেন? দেশপ্রেম? কাদের মুখে শুনছি এ কথা? প্রকাশ জাভড়েকরের দেশপ্রেম? আরএসএস-বিজেপির দেশপ্রেম? পাঁচ পাঁচটা চিঠিতে যাদের নেতা ফিলোজফার গাইড, সাভারকর কাকুতি মিনতি করে মুচলেকা দিয়েছে ইংরেজদের কাছে, যাতে ছত্রে ছত্রে আছে বীর সাভারকারের কাপুরুষতার কাহিনি, কীভাবে ইংরেজদের সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়ে ছাড়া পেতে চেয়েছিলেন আন্দামানের কারাগার থেকে, তারা দেশপ্রেমিক? সরসঙ্ঘচালক গোলওয়ালকর ইংরেজদের লিখছেন, কীভাবে ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা ইংরেজদের পাশে দাঁড়াতে চায়। সঙ্ঘের প্রত্যেক সদস্যের কাছে নির্দেশ যাচ্ছে এই মর্মে, নির্দেশ যাচ্ছে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান না করার। যারা এই নির্দেশ দিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমী? যারা মুসলিম লিগের হাত ধরে দেশটাকে দু’ টুকরো করার আবেদন করছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে, তারা দেশপ্রেমিক? তাদের কাছ থেকে আমাদের দেশপ্রেম শিখতে হবে যারা জওয়ানদের লাশের উপর দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য আনে, আনার চেষ্টা করে? যারা ৫৩ বছর জাতীয় পতাকা তাদের সদর দফতরে তোলেনি, তুলেছে ভাগওয়া ঝান্ডা তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে। আম্বেদকর, সংবিধানের জন্য তৈরি গণপরিষদ নিয়েছিল এই ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকার সিদ্ধান্ত। কী ছিল তখন এই আরএসএস-এর ভূমিকা?

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | সংসদে যারা ঢুকে পড়ল, তারা কারা?

তাদের পত্রিকা দ্য অর্গানাইজার-এ তারা লিখেছিল, “The people who have come to power by the kick of fate may give in our hands the tricolour but it will never be respected and owned by Hindus. The word three is in itself an evil, and a flag having three colours will certainly produce a very bad psychological effect and is injurious to a country.” লিখেছিল হিন্দুরা কখনও এই ত্রিবর্ণ পতাকাকে মেনে নেবে না, তিন সংখ্যাটাই হল অশুভ, তিনটে রং দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। হ্যাঁ, এ কথা আরএসএস-এর মুখপত্রে লেখা হয়েছিল, তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে, তারা জাতীয় পতাকার সন্মান অসন্মান নিয়ে কথা বলছে? গোলওয়ালকর তাঁর বই বাঞ্চ অফ থটস-এর ড্রিফটিং ড্রিফটিং শিরোনামে লিখছেন, “Our leaders have set up a new flag for our country. Why did they do so? It is just a case of drifting and imitating. Ours is an ancient and great nation with a glorious past. Then, had we no flag of our own? Had we no national emblem at all these thousands of years? Undoubtedly we had. Then why this utter void, this utter vacuum in our minds?” তিনি বলছেন আমাদের নেতারা যে নতুন পতাকা তৈরি করলেন তা মানুষের নজর সরিয়ে দেওয়ার জন্য, আমাদের কী অন্য কোনও পতাকা ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। আসলে তিনি ওই ভাগওয়া ঝান্ডার কথা বলছেন। তিনি হিন্দুরাষ্ট্রের ধারণা থেকেই কথাগুলো বলছেন, এদের কাছ থেকে জাতীয় পতাকার মান সন্মানের কথা শুনবে দেশের অন্নদাতারা, দেশের শ্রমিক, দেশের মানুষ? এক কথায়, যদি বলতে হয় দেশের আর পাঁচটা দলের সঙ্গে বিজেপির ফারাকটা ঠিক কোথায়? তাহলে তার উত্তর হল, বাকি পাঁচ কেন? সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করা বাকি সব দল, দেশের সংবিধান, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশের ঐতিহ্য, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে যা ভাবে, বিজেপি তা ভাবে না। বিজেপির কাছে স্বাধীনতা আন্দোলনের কোনও অর্থই নেই, কারণ তাদের পূর্বসূরিরা কেউ কেউ স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, বাকিরা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি, আরএসএস-এর নির্দেশ মেনেই হাত মিলিয়েছিল ইংরেজদের সঙ্গে। তীব্র ঘৃণা গান্ধী, নেহরু, কংগ্রেসের জন্য, কমিউনিস্টদের সঙ্গে শত্রুতা, ধর্মনিরপেক্ষতা কোনওদিনই তাদের সিলেবাসে ছিল না। তারা সংবিধান সভায় যোগ দেয়নি, সংবিধান প্রণয়নে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই, তীব্র মুসলমান বিরোধিতা ছিল তাদের দর্শনের ভিত্তি। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঐতিহ্যকেই বিজেপি বহন করে চলেছে, সঙ্ঘ পরিবারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে, সেই দর্শনকেই তারা আঁকড়ে ধরেছে।

সেই দর্শন মেনেই তারা গান্ধী-নেহরুকে বিশ্বাসঘাতক বলে, গান্ধী হত্যাকারি নাথুরাম গডসের পুজো করে, সেই দর্শন মেনেই তারা ইংরেজদের কাছে মুচলেকা দিয়ে, জেল থেকে বের হওয়া সাভারকরকে তাদের গুরু হিসেবে মান্য করে। সেই দর্শন মেনেই তারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে অস্বীকার করে, সেই দর্শনকে সামনে রেখেই তারা হিন্দুরাষ্ট্রের ছক কষে, সেই একই দর্শনের ভিত্তিতেই মুসলমানদের এদেশের নাগরিক হিসেবে মানতে চায় না। তাদেরকে এদেশে থাকতে হলে, হিন্দু নিয়ম নীতিরীতি মেনে চলার ফতোয়া দেয়। এবং খেয়াল করে দেখুন, কত সুন্দর এক মুখোশের আড়ালে তারা নিজেদের রেখেছিল। তাদের আসল পরিচয়, তাদের এই সংবিধানের প্রতি ঘৃণা, তাদের নাথুরাম গডসে প্রীতি, কত সুন্দরভাবে আড়ালে রেখেছিল। যত দিন যাচ্ছে, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে, ততই আসল রূপ ফুটে বের হচ্ছে। শুনেছিলেন নাকি লাভ জেহাদের কথা ১৯৯০-এ? শুনেছিলেন নাথুরাম গডসে পুজো করার কথা? শুনেছিলেন কখনও সেকুলার শব্দ নিয়ে ব্যঙ্গ, ঠাট্টা? নেহরুর জন্য পাকিস্তান অকুপায়েড কাশ্মীর তৈরি হয়েছিল, এসব এখন সামনে আসছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও তারা তাদের নিজেদের মতোই লিখতে চাইছেন, বলছেনও। তার জন্য ভাড়া করা ইতিহাসবিদ থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক থেকে সাংবাদিক জড়ো করা হচ্ছে। তাঁরা নতুন নতুন তথ্য বের করছেন, নতুন নতুন মনোহর কহানিয়া রচনা হচ্ছে। গান্ধী-নেহরুর বিরুদ্ধে নেতাজি আর প্যাটেলকে দাঁড় করানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নেতাজি বেঁচে ফিরে এসেছিলেন, কেবল গান্ধী-নেহরুর ভয়ে তাঁকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। তিনি এদেশে ফিরে ভিখিরির মতো দিন কাটালেন, নেহরুর পুলিশের ভয়ে, সিনেমা শেষে পরিচালকের আক্ষেপ, আহা যে মানুষটা বেঁচে মারা গেলে লক্ষ মানুষের পথে নামার কথা, সে মানুষের চিতা মাঝরাতে অন্ধকারে চোরের মতো জ্বালিয়ে দিতে হচ্ছে, কেন? কংগ্রেস দলের জন্য। ভাবা যায় এ মিথ্যাচার! ভাবা যায় এই অপপ্রচার, কিন্তু তারা সফলও হচ্ছেন।

মানুষ উদ্ভট তত্ত্বে বিশ্বাসও করছেন, রাম এক অনৈতিহাসিক কল্পনার চরিত্র, তার জন্মদিন, জন্মভূমি মায় আঁতুড়ঘর পর্যন্ত খুঁজে, সারা দেশের মানুষকে বিশ্বাস করাতে পেরেছে, ওই বাবরি মসজিদের তলায় ছিল, রামের জন্মভূমি। কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে বা কিছু মানুষকে বিশ্বাস করানো গেল, যে রাম সেতু হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়, সেখান থেকে নাকি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নতুন সূত্র পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই বালখিল্য কথা বলেছেন, যে গণেশের মাথায় হাতির মাথা নাকি প্লাস্টিক সার্জারিতে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এক মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার, তিনি মনে করেন কুরুক্ষেত্রে মহাভারতের যুদ্ধের সময় ইন্টারনেট ছিল। এসব আজগুবি খবর এমনি এমনি দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়ার পিছনে পরিকল্পনা আছে, প্রথমে কাউকে দিয়ে, সে যেই হোক, প্রধানমন্ত্রী, বা দলের স্বাধ্বী ঋতাম্ভরা হোক, একটা কথা ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারপর তা নিয়ে বড় করে কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। বলা হল গণেশের মাথার প্লাস্টিক সার্জারির কথা, তারপরে আয়ুর্বেদ পাশ ডাক্তারদের, সার্জন হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, আরে কাটা মাথায় যদি সেই তখনকার আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা হাতির মাথা জুড়ে দিতে পারেন, তাহলে সার্জারি তো আয়ুর্বেদের হাতের মুঠোয়। এদিকে অসুখ করলে অমিত শাহ চলে যাবেন স্পেশালিটি হাসপাতালে। সাধারণ মানুষ তাদের দেহ সঁপে দেবে আয়ুর্বেদাচার্যদের হাতে। যার হাতে যা মানায়, ওসির হাতে পিস্তল, কনস্টেবলের হাতে ডান্ডা। অ্যালোপাথি পড়ে সার্জনরা হাঁ করে তাকিয়ে দেখছেন, ওদিকে অ্যালোপাথি চিকিৎসাকে ক্রমশ মহার্ঘ বানিয়ে, বিশাল প্রাইভেট পুঁজি এনে, সাধারণ মানুষের কাছে কবেই ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন তার বিকল্প আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি। নেতামন্ত্রী, আম্বানি আদানিদের জন্য থেকে গেল বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা, কেমন মজা। সংবিধান রচনায় যিনি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই বি আর আম্বেদকর বলছেন, There are two pillars on which the Parliamentary system of government rests and works. Those are (1) an opposition and (2) free and fair elections. In this system of government people should know the other side if there are two sides to a question. Hence a functional opposition is required. Opposition is the key to a free political life. No democracy can do without it”. সংসদে সেই বিরোধীদের সংসদ থেকেই বহিষ্কার করা হচ্ছে, এই জমানার আসল মালিকের বিরুদ্ধে একটা কথা বললেও সংসদে থাকা যাবে না। নির্বাচনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করার জন্যও বিল পাশ হয়ে গ্যালো। যখন সংসদ, গণতন্ত্র, সংবিধান বিপন্ন তখন সাধারণ মানুষকেই রুখে দাঁড়াতে হয়, সাধারণ মানুষই তাঁদের অর্জিত স্বাধীনতা আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাঁচাতে পারেন।

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team