Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে আসছে বিজেপি, রাস্তায় নামুন     
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By: 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:৪৫:২৪ পিএম
  • / ৫৫ বার খবরটি পড়া হয়েছে

ফয়েজ আহমদ ফয়েজ বলেছিলেন, বোল কি লব আজাদ হ্যায় তেরে। বাংলা অনুবাদটা দিয়েই আজকের আলোচনা শুরু করি?

বলে ফেল তুই, তোর যা ইচ্ছে

শব্দরা এখন সবাই স্বাধীন আবার

তোর জিভের আগল ভেঙে ফেল

তোর শরীর থাকুক একান্তই তোর

বলে ফেল তুই, তোর যা ইচ্ছে

শব্দরা এখন সবাই স্বাধীন আবার।

বিজেপি দল বা নেতারা নির্বাচনের আগেই আবার সিএএ নিয়ে মাঠে কেন নামতে চাইছেন তা এখন জলের মতো পরিষ্কার। তাঁরা চাইছেন ধর্মীয় মেরুকরণ, যাতে আগামী নির্বাচনে হিন্দুরা দলে দলে তাদের ভোট দেয়। আর কোনও কারণ থাকতে পারে না। মোদিজি জামাকাপড়ের কথা বলে উসকাচ্ছেন, অমিত শাহ সারা দেশে এনআরসি আসবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। যোগী এক কদম এগিয়ে গুলি চালাচ্ছেন, বদলা নেব বলছেন, নিচ্ছেন। অসংখ্য বিজেপি কর্মী আছেন, তাদেরও একটা অংশ উন্মাদের এই পাঠশালার মনোযোগী ছাত্র। যেমন সায়ন্তন বসু, বলেছিলেন পায়ে নয় বিক্ষোভকারীদের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো উচিত, যেন উনি সর্বদাই হেলমেট পরে থাকেন। যেমন ধরুন দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার বাংলা বলেন না কিন্তু যা বলেন বুঝিয়ে দেন, বলেই দিয়েছেন আমরা এনআরসি লাগু করব দেড় দু’ কোটি মুসলমান নাগরিকত্ব হারাবে। তারও নিচুর সারিতে, এই ধরুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রেগে বা তাঁর কোনও মন্ত্রীর ওপর রাগ করে বা ব্যবসাতে সুবিধে পাবেন বলে বা এতদিন সিরিয়ালে চোখে গ্লিসারিন দিয়ে কেঁদেছি এবার সিনেমায় নামতে চাই, মমতা ফিল্ম দুনিয়া থেকে অনেককে ফোকটেই এমপি এমএলএ করে দিয়েছেন, তাঁরা বিধানসভা লোকসভা কম, শুটিং ফ্লোরে বেশি থাকেন, তেমনিই যদি নিদেনপক্ষে একটা কাউন্সিলর আসনও পাওয়া যায় তেমন অভিনেতা অভিনেত্রী বা ধরুন ইম্পাতে জায়গা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রযোজক বা এক্কেবারে গল্প কবিতা না ছাপাতে পারা লেখক কবি ইত্যাদি যারা এখন এই বঙ্গে বিজেপির সভা আলো করে বসে থাকছেন তাদের অনেকেই বলছেন আপনারা, মানে যারা বিলের বিরোধিতা করছে, আপনারা না ঠিক বিলটা বুঝতে পারছেন না। মনে হচ্ছে সব বার অ্যাট ল। এই আইন একবার প্রয়োগ হলেই দেশ ৫০০ হর্স পাওয়ারের গতি নিয়ে ছুটবে? ওনাদের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্যও তো আছে। ধরুন এই অনুষ্ঠানের অনেক শ্রোতা আমাদের সঙ্গে বহু বিষয়ে একমত, আবার এটাও সত্যি যে অনেকেই একমত নয়। গণতন্ত্রে এটাই তো মজা, সবাই একমত না হলেও আলোচনা চালানো যায়। কিন্তু ওনাদের তো সহজ পদ্ধতি, মতের অমিল হলেই দেশদ্রোহী আর তার মানেই হয় পাকিস্তান চলা যাও নাহলে গোলি মারো শালো কো। যারা আমাদের সঙ্গে একমত নয়, যারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করছেন তাদের বেশিরভাগই মনে করেন আমরা আইনটা বুঝতে পারছি না বা আমরা আইনটা নিয়ে কনফিউজড, বিভ্রান্তিতে আছি যার কারণে এই বিরোধিতা। আসুন আমরা আর একবার বোঝানোর চেষ্টা করি যে নাগরিকত্ব আইন কী বলছে, নাগরিকত্ব আইন আমরা কেন মানতে চাইছি না।

আমাদের মানে আমরা যারা এই আইনের বিরোধিতা করছি তাদের কাছে এই আইন খুব পরিষ্কার। এক্কেবারে পরিষ্কার বুঝেছি আমরা। আমরা বুঝেছি যে এই আইন দিয়ে কিছু ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটাও আমরা পরিষ্কার বুঝেছি যে মুসলমানদের এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। তিনটে দেশ, বলা ভালো ইসলামিক দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে যদি সে দেশ থেকে হিন্দু শিখ, পারসি, জৈন, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানরা আসে তাহলে তারা ৬ বছর এখানে থাকলেই এই দেশের নাগরিক হয়ে যাবে। মিলিয়ে দেখুন আইনে এই কথাই বলা হয়েছে। আগে ১২ বছর লাগত এখন ৬ বছর লাগবে হিন্দুরা পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসতে চাইলে। তাদের আসা সহজ করার জন্য এই আইন বানানো হল। তাকে কেবল বলতে হবে তিনি ধর্মীয় ক্ষেত্রে নিপীড়িত হয়েছেন মানে প্রতিবার, প্রতিবার একজন হিন্দু বলবেন আমায় অত্যাচার করা হয়েছে, আমার পূজার বেদি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং প্রতিবার আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের এই নিয়ে বিরোধ হবে। তাঁরা বলবেন এরকম হয়নি, আসলে এরকম হয়েছে। তার দেশের তদন্ত বলবে লোকটি মিথ্যে কথা বলছে, আমাদের দেশ বলবে লোকটি ঠিক কথা বলছে। এমনিতেই সদ্ভাব রাখা যাচ্ছে না, এবার প্রতিদিন টানাপোড়েন হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের এখানে সংখ্যালঘুদের উপর, ওদেশে পড়বে তাদের সংখ্যালঘুদের ওপর। পড়বেই। এইখানে আমাদের আপত্তি আছে, হ্যাঁ আপত্তি। ভারতবর্ষ কখনও কোনওদিন ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়নি। এটা আমাদের প্রথম আপত্তি। আমরা আসলে ধর্মের ভিত্তিতে কিছুই দেওয়ার কথা কখনও বলিনি। না, শিক্ষা নয়, বরং যে শিক্ষা কেবল উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের হাতে ছিল তাও এখন ছড়িয়ে গেছে সবখানে। স্বাস্থ্য বাসস্থান কিছুই আমরা কোনওদিন ধর্মের ভিত্তিতে দিইনি। পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল, ভারত ছিল সব ধর্মের দেশ, আমরা গর্বিত নাগরিক ছিলাম। ভারত হিন্দুরাষ্ট্র তৈরি করতে চায়নি। তাই ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এটা আমরা মানছি না। এক নম্বর বিরোধিতার জায়গা। এবার দু’ নম্বর বিরোধিতায় আসি। কেন কেবল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান? কেন?  মায়ানমার বা শ্রীলঙ্কা থেকে নয় কেন? কেন আমরা এটা জানাতে চাই যে কেবল ইসলামিক রাষ্ট্র থেকেই নিপীড়িত মানুষদের আমরা নাগরিকত্ব দিতে চাই, এটা আমার মাথায় ঢুকছে না।

আর একটা বড় যুক্তি যা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বলা হচ্ছে যে এনআরসি আর সিএএ দুটো আলাদা বিষয়, আমরা নাকি দুটোকে একসঙ্গে টেনে এনে ব্যাপারটাকে গুলিয়ে দিচ্ছি। তাই নাকি? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার বলছেন ক্রোনোলজিটা বুঝুন। প্রথমে সিএএ আসবে তারপর এনআরসি আসবে। এবং সারা দেশে এনআরসি হবে। আমি বলছি না, আমরা বলছি না। অমিত শাহ বলছেন। তার মানে প্রথমে সিএএ আসবে। আফগানিস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে মুসলমান বাদে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আসবেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তারপর এনআরসি আসবে যেখানে ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা নাগরিক। আহা কী আইন। বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান থেকে মানুষ আসবেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে আর দেশের মানুষকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা নাগরিক। কেন? আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে আমি নাগরিক তারপর আমার নাম খাতায় উঠবে। তার আগেই বিদেশিরা নাগরিক হয়ে গেছে। কেন আমি প্রমাণ করতে যাব যে আমি নাগরিক? আমার ভোটে নির্বাচিত সরকার আমিই নাগরিক কি না প্রমাণ করতে বলছে এবং বলছে যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এসব নাকি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাহলে কার ভোটে আপনারা সরকার তৈরি করেছেন? কারা আপনারা? একবার তথ্যর দিকে চোখ ফেরানো যাক। প্রথমবার যখন অসমে এনআরসি লাগু করা হল তখন এই রেজিস্টারের বাইরে থেকে গেল ৪৩ লক্ষের বেশি মানুষ। ৪০ লক্ষ। তারা অনুপ্রবেশকারী। কোর্ট বলল কী হচ্ছে কী? আবার দেখুন। ৪৩ লক্ষ? সরকার বলল হুজুর দেখছি সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৯ লক্ষে। ৪০ থেকে ৩৯ নয় ৩৮ নয় ১৯? অর্ধেকের কম। এটা হচ্ছে সরকারের প্রথম এনআরসি। একবার ভাবুন ওই মানুষদের কথা যারা ৪৩ লক্ষের লিস্টে ছিলেন! তাদেরকে যদি ডিটেনশন ক্যাম্পে পুরে দেওয়া হত? একটা অপদার্থ প্রশাসন নিয়ে এরকম একটা কাজ করা যায়? এক অসমেই যদি এটা হয় সারা দেশে কী হবে? এখনও কি মনে হচ্ছে যে আমরা আমরা বিষয়টাকে ঠিক করে বুঝে উঠতে পারছি না?

সরকার জানে না যে এরকম একটা কাজ করার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। নেই। একবার ভোটার কার্ডের দিকে তাকান। সেই কবে লাগু হয়েছে। কার্ডে নাম ভুল, বানান ভুল, ঠিকানা ভুল, বাবা মা-র নাম ভুল, পুরুষকে স্ত্রী স্ত্রীকে পুরুষ তো অহরহ দেখতে পাবেন। শের সিং লিঙ্গ মহিলা, তনিমা বিবি পুং। দেখেননি? আগে একটা পরিকাঠামো ঠিক হোক। ১৩০ কোটিতে ৩ শতাংশ standard error মানে প্রায় ৪ কোটি মানুষ। টেকনিক্যাল ভুলের খাতিরে তারা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে? এর পরেও কি মনে হচ্ছে যে আমরা বিষয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না? তাই জন্য আমরা বলছি এই আইন কালা আইন, এই আইন ফেরত নেওয়া হোক।

এবং আরও একটা কথা। কেউ কেউ বলছেন গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার তো একটা মানে আছে। একটা নির্বাচনে জেতা সরকার আইন পাশ করতে পারবে না? সংখ্যাগরিষ্ঠ মানে ঠিক? না, সব সময় ঠিক নয়। সতীদাহর পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিলেন, দাস ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিলেন, মানে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠতাই মাপকাঠি হতে পারে না।

লাগু করার কথা ভুলে যান সম্ভব হলে আইন এক্ষুনি ফেরত নিন। এক্ষুনি। যদি তা না সম্ভব হয় তাহলে যে কোনও দেশ থেকে নিপীড়িত যে কোনও মানুষ ধর্ম লিঙ্গ জাত ভাষা বা বাসস্থান নির্বিশেষে আমাদের দেশে আসতে পারেন, আমরা তেমন জরুরি বুঝলে তাকে নাগরিকত্ব দেব, এমন এক ব্যবস্থা হোক।

সিএএ-র রুল বুক এখনও তৈরিই হয়নি, কিন্তু তাকে ঘুরপথে আনার চেষ্টাও চলছে। এনপিআর, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। দর্শকদের আর একটু খুলে বলি কেমন করে এনআরসি লাগু করার কথা এনারা ভাবছেন। এনপিআর-এ এর আগে জানতে চাওয়া হত আপনার নাম, ঠিকানা, কী করেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি ১৬টা প্রশ্ন, যার সবটাই আপনার সম্বন্ধে। এবার সেটাকে পরিবর্তন করা হয়েছে, আপনার মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট আছে কি না, থাকলে নম্বর, আধার নম্বর (ইচ্ছে হলে দেবেন) প্যান নম্বর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা এবার চাওয়া হচ্ছে তা হল আপনার বাবা মা-র জন্ম তারিখ এবং তাঁরা কোথায় জন্মেছিলেন সেটা জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু হবে? পিছনের কারণটা কী?     

এবার প্রশ্ন এটা থেকে এনআরসি-তে কী করে যাওয়া হবে। খুব সোজা, এই তথ্যগুলো কিছু মানুষ বসে বিশ্লেষণ করবেন, এবং এর মধ্যে থেকে Doubtful voter, সন্দেহজনক ভোটারের তালিকা তৈরি হবে। নানা রকমের গন্ডগোল বা দুর্নীতি সেখানে মনে হতে পারে। ১) বেশ কিছু মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ নেই, গরিব মানুষ, পড়াশুনো জানে না, তারা এই তালিকায় পড়বে। ২) যেভাবে এক শ্রেণির আমলা এক শ্রেণির পুলিশ, বেশ কিছু মানুষ সংখ্যালঘুদের বিরোধী তারা এই সুযোগ নিতে পারে। ৩) প্রতিবাদী মানুষ, কথা বলা মানুষদের মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা হতেই পারে।

সব মিলিয়ে ডি ভোটার, সন্দেহজনক ভোটারদের লিস্ট তৈরি হল। এবার আপনার কাছ থেকে কাগজ চাওয়া হবে, তার ভিত্তিতে এনআরসি তৈরি হবে, সন্দেহজনক ভোটারদের সেই তালিকার বাইরে রাখা হবে। ফল? দুটো ফলাফল নিয়ে আমরা চিন্তিত। ১) সত্যি করেই কাগজ নেই, বা ইচ্ছে করে যাদের হ্যারাস করার জন্য এই লিস্ট লিস্টে রাখা হল, তাদের নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হবে, তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা, আইনের সুরক্ষা দাবি করতে পারবে না, কারণ তারা রাষ্ট্রহীন মানুষ। এত মানুষ থাকবেন কোথায়? খাবেন কী? ২) যে কোনও তথ্য সঙ্কলনের একটা স্বাভাবিক ভ্রান্তির সম্ভাবনা statistical error থাকতেই পারে। তা এসব ক্ষেত্রে আরও বেশি কারণ প্রক্রিয়াটা ম্যানুয়াল এবং ব্যক্তি সিদ্ধান্তের উপর অনেকটা নির্ভরশীল। সেই এরর বা ভ্রান্তি যদি ৩ শতাংশও হয় তাহলে ১৩০ কোটি জনসংখ্যার ৪ কোটি মানুষ বিনা দোষে এনআরসি লিস্টে চলে যাবেন। ভেবে দেখেছেন কোন সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আমাদের। অথচ একটা জবাব দিন তো মোদিজি? এটার দরকার এখন কেন? ঠিক এই মুহূর্তে ধরে নিলাম ৫ কোটি মানুষকে দেশ থেকে বের করে দিলেও কোন সুরাহা হবে? দারিদ্র কমবে? চাকরি পাবে বেকাররা? গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি বেকারত্ব, জিডিপির হিসেব যা বলা হচ্ছে আসলে যে আরও কম সেটা মোদিজি বোঝেন, জানেন।

মনের কথা একলাই বলেই যাচ্ছেন, বলেই যাচ্ছেন। মানুষকে রোজ রাস্তায় দাঁড় করানোটা ওনার প্রায় হবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাগজ চাইছেন? আমাদের কাছে? দেশের মানুষদের কাছে? যারা ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে বন্দরে তাদের কাছে? আপনার আছে কাগজ? হ্যাঁ, এবার প্রশ্ন আপনার আছে কাগজ? ক’টা জন্মদিন আপনার? আমার দেশের প্রধান সেবকের? পড়াশুনো কতদূর? করেছেন? সে ডিগ্রি নিয়ে এত ধোঁয়াশা কেন? একজন প্যাথোলজিকাল লায়ার দেশের মানুষের কাছে কাগজ চায়? নাগরিকতার প্রমাণ চায়?

দেব না কাগজ। ভাল করে শুনে রাখুন প্রধান সেবক,

দেব না কাগজ।

দেব না কাগজ, দেব না কাগজ আমরা।

আমরাই যারা ফসল ফলাই

আমাদের ঘামে এদেশে আমার

কলকারখানা খেত ও খামার

দেব না কাগজ, দেব না কাগজ আমরা।

আমরাই যারা হাতুড়ি পেটাই,

এদেশ আমার আমাদের মাটি

আমরাই দেশ, আমরাই খাঁটি

দেব না কাগজ, দেব না কাগজ আমরা

দেশদ্রোহীদের চিহ্নিত করে

মুখোশগুলোকে দিয়ে ছিঁড়েখুঁড়ে

ভগৎ সিংয়ে স্বপ্নকে নিয়ে নতুন ভারত গড়ব

দেব না কাগজ, দেব না কাগজ আমরা

ধর্মের নামে মানুষকে ভাঙা

ভাইয়ের রক্তে হাতগুলো রাঙা

শয়তানদের চিনেছি এবার শত্রু কারা যে বুঝেছি

দেব না কাগজ দেব না কাগজ আমরা।

একসাথে আজ শপথ নিলাম

শেষ লড়াইয়ের স্লোগান দিলাম

এবার লড়াই, মিছিল আজকে নয়া দিন নিয়ে আসব

দেব না কাগজ দেব না কাগজ আমরা।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team