Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ: মোদিজী মনে করালেন জরুরি অবস্থার কথা
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২, ১০:০৩:১২ পিএম
  • / ৪৩২ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্যান্ডেমিক শেষ হয়েছে, মানে যাকে বলে মোটামুটি শেষ হয়েছে, আপনি দু নম্বর টিকা নিয়েছেন বা নেন নি, বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় আছেন, এরমধ্যে ৪ নম্বর হানাদারির কথা শোনা যাচ্ছে, চতুর্থ ওয়েভ, আবার হাতে মাস্ক। কিন্তু মোদিজী ফিরেছেন স্বমহিমায়, আবার পৃথিবী পর্যটনে, এবার তো নিজের প্লেনে চেপে, দিনে অন্তত ৩/৪ বার জামা কাপড় পালটিয়ে এক ইভেন্ট ম্যানেজারের দিন ফিরেছে, আবার তিনি বেড়াতে বেরিয়েছেন। তো এবার জি সেভেন বৈঠকে আমন্ত্রিত দেশ, জি হুজুর বলে উনি হাজির জার্মানিতে, সেখানে আর এস এস এর হিন্দু শাখা আছে, বিশুদ্ধ সংস্কৃত স্ত্রোত্র পাঠ ইত্যাদি তো হল, তারপর মোদিজীর ভাষণ।

আর কে না জানে ওনার ভাষণ মানে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে, এমন মিথ্যে যা মুহূর্তে সব্বাই জেনেও যায়, তাতে কি, ওনার তো বলা হয়ে গ্যালো। ওখানে বললেন, দেশের সর্বত্র, প্রত্যেকটা গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ, ওমনি হাততালি। এদিকে তার আগের দিনেই খবরের কাগজে ছাপা হয়ে গেছে, ওনার প্রস্তাবিত দেশের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রাম, যেখানে উনি জন্মেছিলেন, ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেড়াতে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, কারণ তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, যা হিসেব তাতে উনিই জিতবেন, লোকে বলবে রাষ্ট্রপতির গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, তাই সে কাজটা সারা হল, তার পরের দিন মোদিজী বলছেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, মানে? ওটাই কি শেষ গ্রাম, যা বাকি ছিল? না, এরকম অসংখ্য গ্রাম আছে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, এরকম অন্তত ১৯ শতাংশ গ্রাম আছে যেখানে পানীয় জল নেই, দেশের ৩০% এর বেশি মানুষ এখনও কাঠ, ঘুঁটে জ্বালিয়ে রান্না করে, উনি অম্লান বদনে বলে দিলেন দেশের ৯৯% মানুষ গ্যাসের আগুনে রান্না করে, এবং এটা নতুন নয়, উনি মুখ খুললেই মিথ্যে বলেন, এটা সর্বজনবিদিত তথ্য। এই মিউনিখেই মোদিজী এই ভাষণেই বললেন, ভারতবর্ষের ডি এন এ তে আছে গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ৪৭ বছর আগে, আমাদের বাক স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছিল, ভারতবর্ষের মানুষ সেই জরুরি অবস্থাকে ভুলবে না, বললেন, এই কথাগুলোই বললেন মোদিজী, দেশে নয়, বিদেশে গিয়ে বললেন। দর্শকদের বিরাট অংশই জার্মানির নাগরিক, তারা হিটলার জামানার কথা জানেন, তারা ঐ মিউনিখ থেকে একটু দূরে দাহাউ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প দেখেছেন, অনেকে সেই হিটলারের জামানায় কাটানো, এখনও বেঁচে থাকা মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, ফাসিজমের কথা, কিভাবে ফাসিজম আসে, ফাসিজম এর লক্ষণ গুলো কী, এসব তাঁরা জানেন, তাঁদেরকে ভারতবর্ষের জরুরি অবস্থার কথা মনে করালেন নরেন্দ্র মোদি, নরেন্দ্র মোদি বললেন গণতন্ত্রের কথা। যারা নির্বাচনে ভোট দিয়ে, বা না দিয়ে বা তাদের ছেলে মেয়ে তাদের আত্মীয় পরিজন মিলে ভোট দিয়ে, যে সরকার তৈরি হল তারা আমাদের জন্য, আমাদের এবং আমাদের দ্বারা এক ব্যবস্থা যাকে আমরা গণতন্ত্র বলছি। সোজা সাপটা ব্যাপার। তুমি আমাকে প্রশ্ন করতে পারো না হে, তুমি পারো না জিজ্ঞেস করতে যে আমি নাগরিক কিনা, তুমি পারোনা ফতোয়া দিতে যে কাল থেকে এরা এরা দেশের বাইরে যাবে, এরা থাকবে না আর এরা থাকবে। না, এই অধিকার সংবিধান তোমাকে দ্যায় নি। সেই গণতন্ত্র হড়কে গেছে ১০ ধাপ। হ্যাঁ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় সারা পৃথিবী জুড়ে দেশগুলোতে গণতন্ত্র কতটা আছে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার গুলো কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে এই সমীক্ষায় হিসেব নিকেশ করে বলা হয়েছে যে ভারতবর্ষের গণতন্ত্র আপাতত ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকাতে আছে এবং র‍্যাংক ৫১ নম্বরে, যা আগের থেকে ১০ কম। ১৯৫০ ২৬ শে জানুয়ারী, একটা নতুন ঝকঝকে সংবিধান হাতে দিয়ে বলা হয়েছিল যা সিমরন যা, জি লে আপনা জিন্দেগী। জীবন আরও ভালো হোক, সব্বাই পেট পুরে খেতে পাক, সব্বার থাক রোটি কপড়া মকান। ৭০ টা বছর পরে, আমাদের গণতন্ত্র হড়কে যাচ্ছে, পিছলে যাচ্ছে, ক্রমঃশ দ্রুত, আরও দ্রুত বেগে। নির্বাচন পদ্ধতি, বহুত্ববাদ, নাগরিক অধিকার, সরকারি পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ইত্যাদির বিবেচনায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ

প্রায় সারা পৃথিবীর সংবিধান ঘেঁটে বহু পন্ডিত মানুষ বসে, অনেক আলোচনা, তর্ক বিতর্ক করে রচিত হল আমাদের সংবিধান। তা লাগু করা হল ১৯৫০ ২৬ জানুয়ারী। সংবিধানের প্রিঅ্যাম্বল এ বলা হল,
WE, THE PEOPLE OF INDIA, having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC and to secure to all its citizens:
JUSTICE, social, economic and political;
LIBERTY of thought, expression, belief, faith and worship;
EQUALITY of status and of opportunity;
and to promote among them all
FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation;
সংবিধান লাগু হল ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০। ঠিক সেদিন যিনি ছিলেন ৫০/৬০/৬৫ র কোঠায়, তিনি আজ আর বেঁচে নেই, তাদের মধ্যে অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী রয়েছেন, যারা দেশ স্বাধীন করার জন্য মার খেয়েছেন, যারা জেল খেটেছেন, লড়াই করেছেন মিছিল করেছেন, নিজেদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য নয়, সন্তানের মুখ চেয়ে স্বাধীনতার কথাই ভেবেছেন।
সেই স্বাধীনতা আজ কেবল বিপন্ন নয়, বিশ্বাসঘাতকদের হাতে। এদিকে মোদিজী বলছেন গণতন্ত্রের কথা, ওনার মুখে গোয়েবলস এর চেহারা, খাপে খাপ। সেই গোয়েবলস যিনি বলেছিলেন বিগ লাইজ, বড় মিথ্যে বল, এত বড় মিথ্যে যে মানুষ তার তল পাবে না, তারপর সেই মিথ্যেকে আবার, বার বার বলতে থাকো, সেই মিথ্যেটা একদিন সত্যি হয়ে যাবে। নরকের পাঠ পড়িয়েছিল গোয়েবলস, আজ সেই পাঠ পড়াতে বসেছে নরেন্দ্র মোদি, আর এস এস – বিজেপি।

কারা অহিংসার কথা বলবে? যাদের গুরুদেবরা যুগিয়েছিল অর্থ ইতালিয়ান বেরেত্তা ৯ এম এম পিস্তল কিনতে, যার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাবে এক বৃদ্ধের, যাঁকে দেশ বলে জাতির জনক। সেই জঘন্য অপরাধীর মূর্তি তে যারা মালা দেয়, নাথুরাম গডসে কে যারা পুজো করে, তাদের কাছ থেকে অহিংসা শিখবে দেশের অন্নদাতারা? হাঁটু পর্যন্ত খেটো ধুতি পরা এক অশক্ত বৃদ্ধের মৃত্যুতে যারা উল্লাস করলো, তারা শেখাবে অহিংসার কথা? যিনি মরার আগে কেবল বলতে পেরেছিলেন হে রাম, যাঁর প্রতিটা সন্ধ্যায় অবশ্য পাঠ ছিল রামধুন, যাদের পরিকল্পনায় ৯ এম এম গুলি তার বুকে বেঁধে, ফিনকি দিয়ে বের হয় রক্ত, তারা রামভক্ত? তারা অহিংস?
প্রনরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্রের কথা বলছেন? গণতন্ত্র? কে বিশ্বাস করে আর এস এস? আর এস এস প্রতিষ্ঠাতা নিজে লিখে গেছেন হিটলারের মত সামরিক শাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা, যাদের আইকন হল হিটলার, মুসোলিনী, যাদের ফ্যাসিবাদের শেকড় ইতালির থেকে নেওয়া, যারা পার্মানেন্ট সলিউশন টু দ্য জিউইস কোয়েশ্চেন এর বদলে, পার্মানেন্ট সলিউশন অফ দ্য মুসলিম কোয়েশ্চেন নিয়ে মত্ত, তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? ফাসিস্ত দানব বলবে সবার সমান অধিকারের কথা? যারা গরু, ছাগল, ভেড়ার মত সাংসদ বিধায়ক কিনে বেচে সরকার তৈরি করে, বিরোধীদের সরকার ভেঙে দেয়, তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? কোন মুখে? সূর্য ওঠার আগে রাজভবনে দল ভাঙিয়ে শপথ নেবার পরের দিন যাদের মুখ পুড়েছে, তারা বলছে গণতন্ত্রের কথা? অতিমারীর মধ্যে বিরোধী দলের সরকার ভাঙার জন্য, যারা এম এল এ কিনে রেখে দেয় রিসর্টে, নির্বাচিত সরকার ফেলে দেয়, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে? যারা দেশের কোটি কোটি মানুষকে আড়ালে রেখে একের পর এক দেশের সম্পদ বেচে দিচ্ছে, তারা গণতান্ত্রিক? কোনও রকম আলোচনার সুযোগ না দিয়ে, তড়িঘড়ি করে তিনটে কৃষি বিল পাস করিয়ে যারা কৃষিক্ষেত্রকে, দালাল কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দিতে চায় তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে আর আমরা শুনবো? কেন? আজ বাধ্য হয়ে সে বিল ফেরত নিয়েছে, কদিন পরেই আবার নতুন করে আনবে বলে।

দেশপ্রেম? কাদের মুখে শুনছি এ কথা? নরেন্দ্র মোদির দেশপ্রেম? আর এস এস বিজেপির দেশপ্রেম? পাঁচ পাঁচটা চিঠিতে যাদের নেতা ফিলোজফার গাইড, সাভারকর কাকুতি মিনতি করে মুচলেকা দিয়েছে ইংরেজদের কাছে, যাতে ছত্রে ছত্রে আছে বীর সাভারকারের কাপুরুষতার কাহিনী, কিভাবে ইংরেজদের সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়ে ছাড়া পেতে চেয়েছিলেন আন্দামানের কারাগার থেকে, তারা দেশপ্রেমিক? সরসঙ্ঘচালক গোলওয়ালকর ইংরেজ দের লিখছেন, কিভাবে ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন এর বিরুদ্ধে, তারা ইংরেজ দের পাশে দাঁড়াতে চায়, সঙ্ঘের প্রত্যেক সদস্যের কাছে নির্দেশ যাচ্ছে এই মর্মে, নির্দেশ যাচ্ছে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান না করার। যারা এই নির্দেশ দিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমী? যারা মুসলিম লিগের হাত ধরে দেশটাকে দুটুকরো করার আবেদন করছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে, তারা দেশপ্রেমিক? তাদের কাছ থেকে আমাদের দেশপ্রেম শিখতে হবে, যারা জওয়ানদের লাশের ওপর দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য আনে, আমার চেষ্টা করে?
যারা ৫৩ বছর জাতীয় পতাকা তাদের সদর দপ্তরে তোলে নি, তুলেছে ভাগওয়া ঝান্ডা, তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে। আম্বেদকর এর নেতৃত্বে, সংবিধান এর জন্য তৈরি গণপরিষদ নিয়েছিল এই ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকার সিদ্ধান্ত। কী ছিল তখন, এই আর এস এস এর ভূমিকা?

তাদের পত্রিকা দ্য অর্গানাইজার এ তারা লিখেছিল, “The people who have come to power by the kick of fate may give in our hands the tricolour but it will never be respected and owned by Hindus. The word three is in itself an evil, and a flag having three colours will certainly produce a very bad psychological effect and is injurious to a country.” লিখেছিল হিন্দুরা কখনও এই ত্রিবর্ণ পতাকাকে মেনে নেবে না, তিন সংখ্যাটাই হল অশুভ, তিনটে রং দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে, হ্যাঁ এ কথা আর এস এস এর মুখপত্রে লেখা হয়েছিল, তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে, তারা জাতীয় পতাকার সন্মান অসন্মান নিয়ে কথা বলছে? গোলওয়ালকর তাঁর বই বাঞ্চ অফ থটস এর ড্রিফটিং ড্রিফটিং শীরোনামে লিখছেন, “Our leaders have set up a new flag for our country. Why did they do so? It is just a case of drifting and imitating. Ours is an ancient and great nation with a glorious past. Then, had we no flag of our own? Had we no national emblem at all these thousands of years? Undoubtedly we had. Then why this utter void, this utter vacuum in our minds?” তিনি বলছেন আমাদের নেতারা যে নতুন পতাকা তৈরি করলেন তা মানুষের নজর সরিয়ে দেবার জন্য, আমাদের কী অন্য কোনও পতাকা ছিল না? নিশ্চই ছিল। আসলে তিনি ঐ ভাগওয়া ঝান্ডার কথা বলছেন। তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণা থেকেই কথা গুলো বলছেন, এদের কাছ থেকে জাতীয় পতাকার মান সন্মানের কথা শুনবে দেশের অন্নদাতারা?
বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য যেদি গিয়েছিলেন এই আর এস এস বিজেপির দল, সেদিন কি জাতীয় পতাকা নিয়ে গিয়েছিলেন? না, যান নি, হাতে ছিল গেরুয়া ঝান্ডা। এই খানেই তফাত, আমাদের অন্নদাতারা তাদের দলের, সংগঠনের, ধর্মের যে পতাকাই লাগান না কেন, সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিতে ভোলেন নি। সেই অন্নদাতারা বলবেন জাতীয় পতাকার কথা। আর এস এস – বিজেপির কাছ থেকে বকওয়াস শুনবো কেন? এই ২৬ তারিখেই দিলু ঘোষ উলটো জাতীয় পতাকা তুলে দিলেন, জানা নেই যাদের পতাকার কোন দিক সোজা কোন দিক উলটো তারা জাতীয় পতাকা নিয়ে জ্ঞান দেবে? যে দলের প্রধানমন্ত্রী যোগাসনে বসে পতাকা দিয়ে ঘাম মোছে তারা দেশদ্রোহী, তারা সংবিধান বিরোধী। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা মানায় না।
এই রাজ্যে এই আর এস এস বিজেপির নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, যিনি চিঠি লিখে কিভাবে ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন কে ব্যর্থ করা যায় তার কথা লিখেছিলেন, সেই শ্যামাপ্রসাদের উত্তরসুরীরা আমাদের শেখাবে দেশ, দেশ প্রেম, জাতীয় পতাকা?

আরও পড়ুন Disease X: ব্রিটেনে দ্রুত ছড়াচ্ছে ‘ডিজিজ এক্স’, করোনার পর কি নতুন মহামারি? 
দেশের মাথায় যারা মনুবাদ কে চাপাতে চান, তারা, তাদের মহান নেতা ক্ষণে ক্ষণে বলেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ! কিসের সবকা সাথ? মনুস্মৃতি তে সাফ বলা আছে মাথায় থাকবে ব্রাহ্মণ আর রাজপুতেরা, ব্যবসা করবে বৈশ্যরা আর সেবা করবে শুদ্র রা, কি ভাবে? তাদের ঘরের মেয়েদের আখের ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে চিৎ করে পেড়ে ফ্যালা হবে, ধর্ষণ করা হবে, হত্যা করা হবে, তারপর পুলিশি পাহারায় জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। উচ্চবর্ণের সেই জানোয়ার রা মিছিল করবে জাতীয় পতাকা হাতে, এটা দেশ না দেশপ্রেম? এই সরসংঘচালক গোলওয়াল্কর তাঁর বাঞ্চ অফ থটস এ লিখছেন, “জাতিভেদ প্রথা আসলে দেশের দুর্বলতা নয়, দেশের শক্তি, জাতিভেদ প্রথা না থাকলে আমাদের দেশ কবেই বহিরাগত শত্রুর কাছে নতীস্বিকার করতো।“ মানে এরা কেবল হিন্দু রাষ্ট্রই চায় না, এরা মনুবাদ চায়, চতুর্বণের প্রতিষ্ঠা চায়, এরা আমাদের সংবিধানে যে জাতিভেদ প্রথা তুলে জাতি ভাষা বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের সমানাধিকার দেওয়া হয়েছে, তার অবসান চায়।
এঁরা গণতন্ত্রের কথা বলে? যে কোনও গণ আন্দোলনের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে আনতে যাদের এক মুহূর্ত সময় লাগে না? ভীমা কোরাগাঁও মামলা। যারা অভিযুক্ত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বুকফুলিয়ে, যারা আন্দোলনকারী বা আন্দোলনের সমর্থক, তাঁরা জেলে, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা চলছে, তারা কেউ কবি, কেউ সমাজকর্মী, কেউ অধ্যাপক, কেউ সাংবাদিক। দিল্লি দাঙ্গা, যারা বললেন গোলি মারোশালো কো তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যারা আন্দোলন করলেন উমর খালিদ থেকে অন্যন্য ছাত্র নেতা নেত্রীরা, তারা জেলে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশদ্রোহীতার। একই ছবি কৃষক আন্দোলনে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হয়েছেও। সেই কৃষক নেতৃত্ব যাঁরা আন্দোলন করেছেন অন্নদাতাদের জন্য, তাদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় কাটিয়েছেন শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, সেই দর্শন পাল সিং, বলবীর সিং রাজেওয়াল, জোগিন্দর সিং উগ্রাহা, বুটাসিং বুর্জগিল, রাজিন্দর সিং, যোগেন্দ্র যাদব, মেধা পাটকর, হান্নান মোল্লা সমেত অন্যান্য কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর এখনো বরকরার।
এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে, এক দেশদ্রোহী সংগঠনের লোকজন কবজা করেছে আমাদের সংসদ, আমাদের দেশ, শুরু হোক তাদের বিরুদ্ধে এক নয়া আজাদীর লড়াই, নয়া গণতন্ত্রের লড়াই

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team