নয়াদিল্লি: বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সর্বভারতীয় স্তরে ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে তৃণমূল। সংগঠন মজবুতির কাজে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মোদির গুজরাতের সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। সোশ্যাল অ্যাক্টভিস্ট সাকেত গোখলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী ঐক্য জোটের মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীপদ প্রার্থী কিনা সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসা করে বলেন, রাজধানীতে বহু রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। অন্যকোনও রাজনৈতিক দলে এমন দেখিনি। দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা সুপ্রিমকোর্টে স্থানান্তরের আবেদন শুভেন্দুর
অতীতে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত করে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা গোটা দেশের কাছে নজির। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অর্থবল, লোকবল, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপপ্রয়োগ এবং সামগ্রিক একতরফা আক্রমণ সত্বেও তুড়ি মেরে বিজেপিকে পরাস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। ৭ বছরে মোদি সরকারকে বার বার বিরম্বনায় ফেলেছেন তিনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু তুলে আরটিআই করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। তথ্য জানার আইনে “টুকরে টুকরে গ্যাং” নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি। বিভিন্ন জনসভায় “টুকরে টুকরে গ্যাং” কথাটি একাধিকবার ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাকেত গোখলে এই নিয়ে আরটিআই করলে কোনও উত্তর দিতে পারেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোপ দেগে তিনি লেখেন, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আসলে বাস্তবে কোথাও নেই এবং গ্যাং সম্পর্কিত সব কথাই আসলে অমিত শাহের কল্পনাশক্তির ফসল। বিষয়টি বিজেপির অন্দরে বেশ শোরগোল ফেলেছিল। তৃণমূল যোগ দিয়ে কি এবার বিজেপিকে সরাসরি রাজনৈতিক ময়দানে জবাব দিতে চাইছেন তিনি, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।