পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে পুজো মিটতেই ময়দানে নেমে পড়ল শাসকদল তৃণমূল এবং সিপিএম। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস মঙ্গলবার থেকে জেলায় জেলায় মিটিং, মিছিল, গ্রামসভা, পথসভা শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা এবং অন্যরা পাচ্ছেন কি না, তা জানার জন্য দলের মহিলা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। আগামী দু’ মাস ধরে তৃণমূলের এই অভিযান চলবে বলে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, প্রথম দিনেই তাঁরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারকে অপদস্থ করার জন্য সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। মহিলা তৃণমূলের এই কর্মসূচির পোশাকি নাম হল ‘গ্রামে চলো’ অভিযান।
এদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প দুয়ারে সরকার চালু হল ফের। তা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের সমস্ত জনকল্যাণ প্রকল্প সবার কাছে পৌঁছনোর জন্য এই দফায় দুয়ারে সরকার শুরু হল। জেলায় জেলায় তার জন্য শিবির খোলা হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, আদিবাসী কল্যাণের মতো প্রকল্পগুলিকে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে একেবারে তৃণমূল স্তরে নিয়ে যেতে চায় শাসকদল।
আরও পড়ুন: BJP: শুভেন্দুর কাজে ক্ষুব্ধ, নন্দীগ্রামে নেতা সহ ৬০ জন বিজেপি ছাড়লেন
বিরোধীরা অভিযোগ করছে, পঞ্চায়েতে সীমাহীন দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। এবার তার হিসেব দিতে হবে। একই সঙ্গে বিরোধীরা শিক্ষা দুর্নীতির কথাও তুলে ধরছে। তারা এগুলিকেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ইস্যু করতে চায়। সেই কারণেই সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন, সিটু সহ বিভিন্ন বাম সংগঠন মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় পদযাত্রার ডাক দিয়েছে। গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও, বাংলা বাঁচাও, এই স্লোগানকে সামনে রেখে বামেরা গ্রামের বাড়ির দোরগোড়ায় যেতে চায়। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক সমাবেশ থেকে এই পদযাত্রার সূচনা করেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কৃষক সভার নেতা বিপ্লব মজুমদার বলেন, গ্রামের মানুষের এখন ভয় ভাঙছে। শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা এখন মুখ খুলছেন। আর তাঁরা শাসকদলের লাল চোখকে পরোয়া করছেন না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের ভোট লুঠ বন্ধ করতে হবে। পঞ্চায়েতে চুরি ঠেকাতে হবে। তাই আমরা গ্রাম জাগাও কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।