কলকাতা: রাজ্যের প্রস্তাব মেনে ডিসেম্বরেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হতে পারে৷ সেই ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকুক রাজ্য পুলিস৷ শনিবার এমনটাই চেয়েছে রাজ্য সরকার৷ তাই, ভোট করাতে কত সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন তার একটা রূপরেখা তৈরি করে পাঠাতে বলেছে নবান্ন৷
সূত্রের দাবি, ‘দুই পুরসভার ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইভিএম দিয়েই হবে। কিন্তু, কোনও ভিভি প্যাড থাকছে না। এ কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন তা নিশ্চিৎ হবেন কীভাব? যদি না ছাপার আক্রারে প্রতীক না বের হয়৷ তবে, ভোট করাতে ইভিএম সচল রয়েছে কিনা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইভিএম রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পৌরসভা ভোট করাতে চাই রাজ্য সরকার। তার মান্যতা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতিপর্ব শুরু করে দিয়েছে। তবে, ভোটের দিন, কটা থেকে কটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। সে ব্যাপারে দু-একদিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল আইনের ৩৬ ধারা অনুযায়ী ভোটের সময় নির্ধারন করতে পারে রাজ্য সরকার।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দিকে দুই পুরসভার দিনক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ২৪ দিন পর নির্বাচন হয়। নির্বাচনের শেষ প্রচার ৪৮ ঘন্টা না ৭২ ঘন্টা রাখা হবে তা কোভিড পরিস্থিতির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি৷
আরও পড়ুন-স্কুল বন্ধ, একশো শতাংশ বাড়ি থেকে কাজ সরকারি কর্মীদের, দূষণ রোধে পদক্ষেপ কেজরিওয়ালের
কোভিড প্রস্তুতির জন্য কলকাতা পুরসভার বুথের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি হবে। অতিরিক্ত বুথ ও করা হচ্ছে। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত বুথের সংখ্যা নির্ণয় করতে বলা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মোট ভোটারের সংখ্যা কত? তা ইসিআই’কে মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানতে চাইবে। তবে, গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে কলকাতায় যে ভোটার সংখ্যা ছিল তার একটা খসড়া তৈরি করেছে কমিশন।
অন্যান্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোভিড পরিস্থিতিতে যে ধরনের গাইড লাইন রয়েছে তা মেনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরো ভোট করাতে চায়। শীঘ্রই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে চলেছে।
১৭ নভেম্বর বিধানসভায় বালি পুরসভা নিয়ে বিল পাস হতে চলেছে। তারপর হাওড়া পুরসভা কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন।