কলকাতা: নাবালিকা এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)-র নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত (Autopsy) হতে চলেছে। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) চিকিৎসকদের দিয়ে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
হরিহরপাড়া থানার স্বরুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (SwarupPur Gram Panchayat)-এর রমনা গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রহিমা খাতুন গত ২২ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর ২৭ জানুয়ারি ওই এলাকার একটি জমির মধ্যে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর। গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা, চোখ খুবলে নেওয়া সহ ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহরমপুর মর্গের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ওই ছাত্রীর ওপর শারীরিক অত্যাচার , নিশংসভাবে খুন এমনকি চোখ খুবলে তুলে নেওয়ার উল্লেখ নেই বলেই অভিযোগ ওঠেছে।
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এলাকারই যুবকের বিরুদ্ধে
রমনা গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পুরনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগ। মামলাকারীদের আইনজীবী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং পকশো ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Joy Sengupta)। নিহত ছাত্রী রহিমা খাতুনের মা সহ পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন। যদিও ওই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত এক কিশোর এবং তার মাকে গ্রেফতার করতে পারলেও ওই কিশোরের বাবা পালিয়ে যাওয়ায় এখনও গ্রেফতার করা যায়নি বলেই জানা গেছে।
আরও খবর দেখুন