কলকাতা: হরিদেবপুরে মা এবং তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মেয়ের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। মা এবং তার প্রেমিককে ফাঁসানোর জন্যই নাটকীয় প্লট তৈরি করেছিল মেয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইউটিউবে দেখেই সমস্ত কৌশল শিখেছিল বলেই জানিয়েছে ওই মেয়েটি।
আরও পড়ুন: Dharna | TMC Women Cell | কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ধরনা
কীভাবে করল?
প্রথমে মায়ের নম্বর ব্যবহার করে নিজের ফোন থেকে টেলিগ্রাম খোলে। একেই নম্বরে দুটো ফোন টেলিগ্রাম ব্যবহার করার সুবিধে থাকায়, মায়ের অ্যাকাউন্ট যা যা মেসেজে আসত তাই মেয়ের ফোনও আসত। ওই মেয়েটি পুলিশকে জানায় যে সে এই সমস্ত টেকনিক্যাল বিষয় ইউটিউবে থেকেই শিখেছে। যদিও পুলিশ খবর এখনও অনেক তথ্য অমিল রয়েছে। কারণ যে চ্যাটের স্ক্রিনশট নাবালিকা পুলিশকে দিয়েছে সেখানে দুতরফা চ্যাট ছিল। সেটা কীভাবে করল? এতো বেশি টেকনিক্যাল পার্ট শুধুই কি ইউটিউবে দেখে নাকি এর পিছনে অন্য করো হাত রয়েছে, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে আবার এই ঘটনায় মেয়েটির বাবার চক্রান্ত আছে বলেও দাবি করেছেন মেয়ের মা। তাঁর দাবি, বিগত ৬ বছর ধরে স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন তিনি। স্বামী কুদঘাটে তার মা বাবার সঙ্গে থাকে। মেয়ে মাঝে মাঝে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তিনিই মেয়েকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। ওই মহিলা এও জানান, যে এর আগেও তাঁর মেয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। বুঝিয়ে কাজ হয়নি। তিনি জানান তিনি জামিনের আবেদন করেবন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্কের যে কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।
স্থানীয় সূত্রে, বাবা এবং মায়ের মধ্যে মেয়েকে কাস্টডিতে নেওয়া নিয়ে একটি ঝামেলা চলছিল। মা কিংবা বাবা কেউই মেয়ের দায়িত্ব নিতে চায় না। যদিও পুলিশ বা মনোবিদের বলছেন, মূলত মেয়েটি ছোট থেকেই মাতৃসহ থেকে বঞ্চিত। সেই কারণেই ক্ষোভের বসে এসে এই কাজ করে। তাকে এ ব্যাপারে অন্য কেউ সাহায্য করেছিল কি না, তাও খাইয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে।