কলকাতা: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা, ফলত রোগীর চাপ এসে পড়ছে হাসপাতালগুলির উপর। ব্লক হাসপাতালগুলির উপর রোগীর চাপ কমাতে বাংলায় আরও ২৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ কাজে স্বাস্থ্য দফতর প্রায় ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই ১৭টি জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলি তৈরির ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, কোচবিহার, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, ডায়মন্ডহারবার ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় এই নতুন ২৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, পাহাড় ও সমতল এলাকার জন্য আলাদা বাজেট ধরা হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তিনটি এমন নতুন করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। বাকি জেলার ক্ষেত্রে, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৯৭ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন:Anurag Thakur OTT | ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘অশ্লীলতা’! আইন বদলের হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ অনুরাগ ঠাকুরের
এছাড়াও যেসব জায়গায় নিজস্ব ভবনবিহীন সাবসেন্টার চলছিল, সেখানে ভবন তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন ২৩টি সাব সেন্টারের জন্য ৯ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলায় জেলায় যেভাবে রোগীর চাপ বাড়ছে, তাতে একটি ব্লক হাসপাতাল বা প্রাথমিক স্বাস্থাকেন্দ্র যথেষ্ট নয়। রোগীর চাপ কমানোর জন্য জেলায় জেলায় এমন বেশকিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, চিকিৎসার জন্যে রোগীদের দূরদূরান্তে যেতে হয়। রোগীদের কথা চিন্তা করেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রোগীর চাপ যেমন কমবে, তেমনি রোগীদের বেশি দূরে গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে না। করোনার সময় রাজ্যএর একাধিক হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে হিসেবে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তখনও করোনা হাসপাতালের এলাকাগুলিতে এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু করে সরকার। তারপরেও রোগীর চাপ বাড়তে থাকে দিনদিন। সে কথা মাথায় রেখেই নতুন করে ২৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার উদ্দোগ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।