ঝাড়গ্রাম: কুড়মিরা আগামিকাল শনিবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) শালবনিতে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নিল। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে তাদের কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিয়েছে। শনিবার শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর হাজির থাকবেন। তার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে শুক্রবার থেকেই।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই শুক্রবার রাতে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে যে হামলা হল, তাতে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গেল। দহিঝুড়ি থেকে অভিষেকের গাড়ি শালবনির দিকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই কনভয়ের অন্যান্য গাড়ির উপর কুড়মিরা আক্রমণ চালায়। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মন্ত্ৰী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট পড়ে। তাঁর গাড়ির চালকের চোখ ইটের ঘায়ে জখম হয়। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আক্রান্ত হয় পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের গাড়িও।
আরও পড়ুন: Akhilesh Yadav | Azam Khan | আজম খানের বিধানসভার সদস্যপদ ফেরাবার দাবি, অখিলেশের
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উতোরচাপান। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাতে বলেন, এই হামলার ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে আমার বাড়িতে যখন কুড়মিরা ভাঙচুর করে, তখন পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জনসংযোগ যাত্রার সভা থেকে আমার বাড়ি ফের ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন। তিনি উত্তেজক ভাষণ দিয়েছেন। শাসকদলের মুখপাত্ররা আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলেছেন। তখন যদি সরকার কড়া অবস্থান নিত, তাহলে আজকের পরিস্থিতি হত না।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এত পুলিশ, এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাইপোকে নিরাপত্তা দিতে পারলেন না? এটা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা। এই ঘটনার নিন্দা করছি। তবে সরকার কুড়মিদের নিয়ে ছেলেখেলা করছে। তার পরিণাম এই ঘটনা।