গুজরাত: জালিয়াতি মামলায় (accused in cheating case) গুজরাতের জেলে থাকা তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে (TMC’s Saket Gokhale) এবার আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ফের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(Enforcement Directorate)। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রাউডফান্ডিংয়ের (crowdfunding) মাধ্যমে বাজার থেকে এই টাকা তোলেন সাকেত গোখেল। তাঁকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) আওতায় নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি।
এই আর্থিক তছরুপের কারণেই গত বছর ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে তৃণমূল নেতা সাকেত গোখেলকে গ্রেফতার করে আমেদাবাদের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০(প্রতারণা-cheating), ৪০৬ (ফৌজদারি অপরাধ-criminal breach of trust ) ও ৪৬৭ (জালিয়াতি-forgery) এই ধারায় সাকেতকে (Saket Gokhale) গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। এই মামলায় পুলিশ জানায় গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্রাউডফান্ডিংয়ের (crowdfunding) মাধ্যমে ১৭০০ জনের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা তোলেন সাকেত গোখেল। এই পরিমাণ অর্থ জুটিয়ে পরে নিজের ব্যক্তিগত কাজে লাগান তিনি।
আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya: ফের ৫ লাখ জরিমানা জেলবন্দি মানিককে
তবে এটাই প্রথম নয়। গত ৬ ডিসেম্বর টুইটারে ফেক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। মোরবি সেতুর দুর্ঘটনার পরে মোদির সফরের জন্য ৩০কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে একটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। সেই খবরটির লিঙ্ক সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারের দাবি ছিল, ওই খবরটি ভুয়ো। পরের দিন জামিনে মুক্তি পান সাকেত। ৮ডিসেম্বর ফের তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বার বার সাকেতকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
সেই মামলাতেও পরে জামিনে মু্ক্তি পান সাকেত। শেষে ৩০ ডিসেম্বর আর্থিক তছরুপের অভিযোগে দিল্লি থেকে ফের তাঁকে গ্রেফতার গুজরাত পুলিশ। দিল্লি পুলিশকে কিছু না জানিয়েই দিল্লিতে অভিযান চালায় গুজরাত পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দাবি ছিল, গুজরাত পুলিশ শুধু তাদের কাছে সাকেতের ঠিকানা জানতে চেয়েছিল। এই গ্রেফতারিতে তাদের কোনও ভুমিকা নেই। বুধবার, পিএমএলএ (PMLA) আইনে ইডি তাঁকে ফের গ্রেফতার করল।