নয়াদিল্লি: ভ্যাকসিন (Covid vaccine) না নিলেই বিপদ। ওমিক্রন (Omicron in India) ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা এতোটাই বেশি যে ভ্যাকসিনই (coronavirus) একমাত্র ভরসা। অর্থাৎ টিকা নেওয়া থাকলে (vaccine dose) ওমিক্রন বা নতুন ভ্যারিয়েন্টের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তথ্য পরিসংখ্যান দেখিয়ে কোভিড বিশেষজ্ঞদের মত এটাই।
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি। চরিত্র বদলে ফেলেছে কোভিড। শুধু একটুই বলতে পারছেন বিশেষজ্ঞেরা। ওমিক্রন নিয়ে আরও অনেক বেশি গবেষণার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে এটা নিশ্চিত করে বলছেন প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে প্রাণের ঝুঁকি অনেকটাই কম।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রামিতদের হাসপাতালে ভরতির হার অত্যন্ত কম। হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে এমন রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ৯০ শতাংশ মানুষই ভ্যাকসিন নেননি। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করে বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ৭৮ শতাংশ মানুষ সংক্রমণ এড়াতে পারবেন। আর টিকা নেওয়ার পরও যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশকে হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সংক্রামিত মানুষকে হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন হবে না।
আরও পড়ুন: Covid vaccine: করোনার সংক্রমণ রোধে নতুন ভ্যাকসিনের খোঁজে হু, কী বলছেন শহরের চিকিৎসকেরা
বুধবার সংক্রমণের নিরিখে সব মিলিয়ে ৮টি রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির যে হার, যাকে পজিটিভিট রেট বলা হচ্ছে সেই হারে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।
পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে তালিকায় একেবারে সামনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরপর রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ। এই চার রাজ্যে সংক্রমণের ভয়াবহতা নিয়েই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ২৩.১ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে ২২.৩৯ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে বৃদ্ধির হার ৪.৪৭ শতাংশ। তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে৷ মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় পনেরো শতাংশ বেশি৷ সংখ্যায় ২৬ হাজারের বেশি৷
করোনা শহরাঞ্চলের গণ্ডি পেরিয়ে গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে৷ একই অবস্থা পজিটিভিটির রেট। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, বর্তমানে দেশের ১৩২টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। যা রীতিমতো উদ্বেগের।