কলকাতা: পুরভোট নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, অতিমারি আবহে চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দিলে, রাজ্যের তরফে কোনও আপত্তি নেই। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন পুরভোট নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী, তা জানার অপেক্ষায় ছিল। রাজ্যের তরফে ভোট পিছনোর সিদ্ধান্তে সায় মেলার পরেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
কোভিড পরিস্থতিতে চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরভোট ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কি না, তা বিবেচনা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় হাইকোর্ট।
তার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস চিঠি দিয়ে পুরভোট নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চায়। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দিলে, সরকারের কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে চার পুরনিগমের ভোট, শনিবার সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন
সূত্রের খবর, শনিবারই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরভোট পিছিয়ে দিতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছিল। এই চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। তবে, ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি যে পুরসভাগুলির নির্বাচন রয়েছে, তা পিছনোর কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই মুহূর্তে রাজ্যের যা কোভিড পরিস্থিতি তাতে ভোট করানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে করছে রাজনৈতিক মহল৷ একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জড়ো হলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়৷ বিরোধী দলগুলি প্রথম থেকেই ভোট পিছনোর পক্ষপাতী৷ এ বার রাজ্য অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ায়, বল এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোর্টে৷