পেশাওয়ার: সোমবার সন্ধ্যাবেলা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পরপর দুটি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত পক্ষে ১৩ জনের। জখম হয়েছে প্রায় ৫০। তবে এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই ওই ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। এছাড়াও, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শাখার আঞ্চলিক প্রধান সোহেল খালিদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিস্ফোরণগুলি আত্মঘাতী হামলা বা অন্য কোনও সন্ত্রাসবাদ কর্মকান্ড বলে মনে হচ্ছে না। তাঁর মোতে কিছু অসাবধানতার কারণে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে প্রদেশের পুলিশের প্রধান আখতার হায়াত জানিয়েছে, সোয়াট জেলার কাওয়াল শহরে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। অন্তত পক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৫০। তিনি আরও জানিয়েছেন, মূলত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান করার জন্যই কাওয়াল শহরে ওই ঘাঁটি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Earthquake | ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৩
হামলার পরই আসল কারণ খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ ও সেনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে এই হামলার পিছনে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, এই বছর ফেব্রুয়ারিতেই করাচি পুলিশের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছিল টিটিপি। অন্ততপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছিল সেই হামলায়। আর খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনা ও পুলিশ। যার কারণে প্রতিশোধ হিসেবে পাল্টা পুলিশি ঘাঁটিতে হামলা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।